শীতে সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বিশেষ করে এ সময় বাড়ে ডাস্ট অ্যালার্জি। বৃষ্টি না হওয়ায় ধুলাবালি ও বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয়। ধুলাবালির কারণে ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়।
এক্ষেত্রে হাঁচি-কাশি, চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি পড়া, ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ব়্যাশ ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা ধরনের ওষুধ খান। এর পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়েও ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন করনীয়-
টকদই খেতে পারেন
টকদইয়ে থাকা প্রো-বায়োটিক ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। অ্যালার্জি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়ে থাকে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে ও অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত টকদই খেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগারও উপকারী
আপেল সিডার ভিনেগারও ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করলে মিলবে উপকার।
ভাপ নিন
ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাব কাটাতে স্টিম নিতে পারেন। এজন্য একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার থেকে নির্গত বাষ্প নাক ও মুখের সাহায্যে গ্রহণ করুন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের স্টিম নেওয়ার যন্ত্র বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে কমপক্ষে ১০ মিনিট স্টিম নিন। এতে নাকের বন্ধভাব দূর হবে।
মহৌষধ মধু
ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে দারুন কার্যকরী মধু। গবেষণা অনুযায়ী, মধু পরিবেশে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। এছাড়া মধুতে থাকা প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য অ্যালার্জির ফুসকুড়ি কমায়।
ঘি রাখুন পাতে
ডাস্ট অ্যালার্জির চিকিৎসায় ঘি দুর্দান্ত কাজ করে। এজন্য আধা চা চামচ ঘি এর সঙ্গে পরিমাণমতো গুড় মিশিয়ে খান। অনিয়ন্ত্রিত হাঁচি ও অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে এক চা চামচ ঘি খেতে পারেন। এতে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে। যা অনুনাসিক পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ক্রমাগত হাঁচির সমস্যাও সমাধান করে।
ডাস্ট অ্যালার্জি সারাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক এই ভেষজ ডাস্ট অ্যালার্জির উপসর্গ কমায়। এজন্য ৩-৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পানিতে মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন। অ্যালোভেরায় থাকে ব্যথানাশক ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে। যা ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাব কমায়। এজন্য শীতে নিয়মিত পান করতে পারেন অ্যালোভেরার রস। এতে ওজনও থাকবে বশে।