শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ ফুসফুস। এটি বায়ুতে উপস্থিত অক্সিজেন গ্রহণ করে। এছাড়া রক্তে মিশে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুতে ছেড়ে দেয়। এই প্রক্রিয়াটা নিরন্তর চলতে থাকে বলেই আমরা শ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকি। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে ফুসফুসকে সুস্থ রাখতেই হবে। তার জন্য পাতে জায়গা করে দিতে হবে অত্যন্ত উপকারী এবং পরিচিত কিছু খাবার, যেগুলো ফুসফুসের সুস্থতার জন্য মহৌষধ। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নিই তেমনই কয়েকটি খাবার সম্পর্কে।
আপেলের শরণাপন্ন হন
এই ফলে রয়েছে কুয়েরসেটিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান ফুসফুসের ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে তোলার কাজে সিদ্ধহস্ত। নিয়মিত আপেল খেলে সিওপিডি’র মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও কয়েকগুণ কমবে! তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই আপেল খাওয়া শুরু করুন।
সেরার সেরা বিট
অতি পরিচিত বিট কিন্তু একটি সুপারফুড। এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এসব উপাদান ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ফুসফুসের খেয়াল রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি এই অঙ্গের প্রদাহ প্রশমিত করার কাজেও জুড়ি মেলা ভার। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সবাইকে নিয়মিত বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন।
মহৌষধ মিষ্টি কুমড়া
অনেকেই কুমড়া খেতে চান না। ফলে তাদের শরীরের বেজে যায় বারোটা। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতেই হবে। বিশেষত, ফুসফুসের হাল ফেরাতে চাইলে এই সবজির পদ পাতে রাখতেই হবে। মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ক্যারিটিনয়েডস থেকে শুরু করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানের ভাণ্ডার। এসব উপাদান কিন্তু ফুসফুসের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই আজ থেকেই পাতে এই সবজিকে জায়গা করে দিয়ে সুস্থ থাকার পথে এগিয়ে যান।
টমেটোর জুড়ি মেলা ভার
টমেটো হলো ভিটামিন ও খনিজের আঁতুড়ঘর। এই সবজিতে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি উপাদান, যা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে। এই উপাদানের গুণে ফুসফুসে প্রদাহের প্রকোপও কমে! তাই তো বিশেষজ্ঞরা সবাইকে নিয়মিত টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দেন।
পাতে থাকুক পালংশাক
এই শাকে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও আয়রনের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যারোটিনয়েডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান ফুসফুসের পাশাপাশি গোটা শরীরের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধের কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলে পালংশাক খেতে ভুলবেন না যেন।