বয়সের সঙ্গে মানুষের জীবনেও আসে নতুন নতুন মোড়। বিশেষ করে ৩০ বছরের পর যেন সবাই একটু বিবেচক হয়ে ওঠেন। জীবন নিয়ে আরও বাস্তববাদী ও দায়িত্ববোধ এসে পড়ে কাঁধে। সব মিলিয়ে এই বয়সের পর নারী-পুরুষ উভয়ই জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন।
আবার এই বয়সের পরে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও ফুটে ওঠে। তাই বয়স ৩০ হতেই নিজের শারীরক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সবারই যত্নশীল হওয়া জরুরি। বয়স ৩০ পার হতেই কয়েকটি কাজ অবশ্যই করা উচিত। কী কী চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সঞ্চয় করা
বয়স ৩০ এর কোঠায় যেতেই সঞ্চয়ে মনোযোগী হতে হবে। যদিও যত কম বয়স থেকে সঞ্চয় শুরু করা যায়, ততই ভালো। এতে হঠাৎ করে বড় কোনো বিপদ, রোগব্যাধি কিংবা সমস্যা দেখা দিলে সামলে নেওয়া সহজ হবে।
স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা
এই বয়সে গিয়ে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস করতে হবে। যেহেতু এখন বেশিরভাগ মানুষই কর্মক্ষেত্রে সারাদিন বসে ম্পিউটারে চোখ রেখে দিন, তাই কায়িক পরিশ্রম অনেকটা কমে যায়।
ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, যার মধ্যে স্থূলতা অন্যতম। কোনো অসুস্থতাকেই হেলাফেলার চোখে দেখবেন না। ছোটখাটো রোগবালাই বয়সের সঙ্গে পরিণত হতে পারে বড় কিছুতে। যে কারণে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন।
চাপমুক্ত থাকুন
বয়স বাড়লে পরিবার, সংসার, কর্মস্থানসহ সবখানেই বাড়ে দায়িত্ববোধ। ফলে অনেকে নিজের কথাই ভুলেই যান। তাই যতই চাপ থাকুক না কেন, মাঝেমধ্যে বিরতি নেওয়া উচিত সবারই।
বন্ধুদের সময় দিন
বয়স বাড়লে নানা কাজের ব্যস্ততায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন না অনেকেই। আবার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুদের মধ্যেও আসে পরিবর্তন। এত কিছুর মধ্যেও চেষ্টা করুন বন্ধুদের জন্য আলাদা করে সময় বের করার। তাহলে ভালো থাকবে মন।
নতুন কিছু শিখুন
বয়স বাড়তেই অনেকে নিজের শখ-আহ্লাদগুলো দমিয়ে রাখেন। নতুন কিছু শেখার আগ্রহও কমে যায়। ফলে হতাশা চেপে বসে মনে। বয়স যতই বাড়ুক না কেন, নতুন কিছু করতে বা শিখতে কখনই পিছপা হবেন না। মনে রাখতে হবে, আধুনিক সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন কিছু শেখা আপনাকে সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে।
কারও সঙ্গে নিজের তুলনা করবেন না
বয়স ৩০ এর কোঠায় যেতেই প্রত্যেকে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন হয়ে ওঠেন। এ সময় অনেকেই হয়তো তার আশপাশের মানুষের ক্যারিয়ার দেখে ঈর্ষান্বিত বোধ করেন। যা আপনাকে আরও দুর্বল করে তুলবে। মনে রাখবেন, সবার চলার পথ এক নয় প্রত্যেকের জীবনযাত্রা আলাদা। অন্যের সঙ্গে তুলনা করে নিজের লক্ষ্য থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলবেন না।