গরমে স্বস্তি পেতে কিংবা বর্ষায় ঘরেরে আর্দ্রতা ঠিক রাখতে এসি ব্যবহার করেন। তবে এসি চালিয়ে গরমে আরাম হলেও বিদ্যুৎ খরচের কথা মাথায় রাখতেই হয়। এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে এসি ইনস্টলের সময় থেকেই। এসি ইনস্টলের সময় কিছু ভুলে বাড়বে বিদ্যুৎ খরচ, সেই সঙ্গে নানান ঝামেলায়ও পড়তে হতে পারে।
দেখে নিন কী কী ভুল সাধারণত আমরা করি-
>> বিভিন্ন আকারের এসি হয়। আকারের উপর নির্ভর করে কর্মক্ষমতা। টন বা টনেজ এয়ার কন্ডিশনারের শীতল করার ক্ষমতা বোঝায়। এখন ডাক্টলেস মিনি স্প্লিট সিস্টেম বা ভুল আকারের সেন্ট্রাল এসি ইনস্টল করলে সমস্যায় পড়তে হবে। ছোট ঘরে বড় এসি ইউনিট বা বড় ঘরে ছোট এসি ইউনিট, একইরকম ক্ষতিকর।
>> ভুল জায়গায় এসি ইনস্টল করার ফলেও সমস্যা হতে পারে। ছায়া রয়েছে এমন জায়গাতেই এসির আউটডোর ইউনিট ইনস্টল করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দেখে নিতে হয়, বায়ু চলাচলে যেন কোনোরকম বাধা না পায়। বিছানা বা সোফার উপরে লাগানো একদমই উচিত নয়। এসি ইউনিট এবং মেঝে বা আসবাবের দূরত্ব কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার হওয়া উচিত।
>> হিটিং বা কুলিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের জন্য থার্মোস্ট্যাটের ডিজাইন করা হয়েছে। থার্মোস্ট্যাটের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে, সঠিক জায়গায় ইনস্টল করা গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে এসির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। খেয়াল রাখতে হবে, সরাসরি সূর্যের আলো যেন থার্মোস্ট্যাটে না লাগে।
>> অনেকেই এসি ইন্সটল করে ছেড়ে দেন। রেফ্রিজারেন্টে লিক আছে কি না দেখেন না। কিন্তু ইনস্টলেশনের পর রেফ্রিজারেন্ট স্তর অবিলম্বে চেক করা আবশ্যক। নাহলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
>> সঠিক ড্রেনেজ সিস্টেম এসির জন্য খুবই জরুরি। এসি ইউনিট যখন কুলিং বা হিটিং মোডে কাজ করে তখন অভ্যন্তরীন বা বাহ্যিক হিট এক্সচেঞ্জারে আর্দ্রতা ঘনীভূত হয়। এই আর্দ্রতা যদি সঠিকভাবে ফিল্টার করা না হয় তাহলে বাড়ি বা দেওয়ালের ক্ষতি হয়।