যুক্তরাষ্ট্রের মিডল ও হাই স্কুলের ছাত্ররা আগের চেয়ে কম হারে ই-সিগারেট টানছে। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে মিডল ও হাই স্কুলের প্রায় ১৬ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ই-সিগারেট টানে। এদের এক-চতুর্থাংশ দৈনিকই তা করে থাকে।
জরিপে দেখা গেছে, প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী বলছে, তারা চলতি বছর ই-সিগারেট পান করছে। ২০২৩ সালে সংখ্যাটি ছিল আরো বেশি। বর্তমানের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৬ শতাংশ মিডল ও হাই স্কুলার ই-সিগারেট পান করছে। আর গত বছর ছিল ৭.৭ শতাংশ।
এফডিএ সেন্টার ফর টোবাকো প্রডাক্টস পরিচালক ব্রায়ান কিং এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের জাতির তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহার কমা মানে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের জন্য বিরাট এক বিজয়।
এফডিআইয়ের ন্যাশনাল ইয়ুথ টোবাকো সার্ভে প্রতি বছর মিডল গ্রেড ও হাই স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচালিত হয়। চলতি বছরের জরিপটি হয়েছিল ২২ জানুয়ারি থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই ই-সিগারেট টানার প্রবণতা বেশি কমেছে। আর মিডল স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ই-সিগারেট টানার হার গত বছরের মতোই রয়ে গেছে।
ই-সিগারেট ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের ফ্লেভার পণ্য পছন্দের। বিশেষ করে ফল, ক্যান্ডি ও মিন্ট ফ্লেভার তারা বেশি পছন্দ করে। ইএলএফ বার হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। এরপর রয়েছে ব্রিজ, মি. ফগ, ভাজ ও জেইউইউএল।
সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অফিস অন স্মকিং অ্যান্ড হেলথ ডিরেক্টর ডিয়েরড্রে লরেন্স কিটনার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ই-সিগারেট ও নিকোটিন যাই হোক না কেন, তরুণদের যেকোনো ধরনের তামাক-জাতীয় পণ্য ব্যবহার ক্ষতিকারক।’
যুক্তরাষ্ট্রে কৈশোরেই ধূমপানের অভ্যাস গড়ে ওঠে। প্রাপ্তবয়স্ক যেসব ব্যক্তি ধূমপান করে, তাদের ৯০ শতাংশই ১৮ বছর বয়সের আগেই ওই অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর অন্যতম কারণ হলো ধূমপান। এসব রোগে মোট মৃত্যুর ২০ ভাগ পর্যন্ত হয়ে থাকে।