সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুক সংসারের খুঁটিনাটি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৪৬

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের জীবনের অংশ। তবে আমাদের জীবনসর্বস্ব হয়ে ওঠায় এটি আমাদের ব্যক্তিগত ও সাংসারিক জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে হবে সংসারজীবনের সব খুঁটিনাটি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিভাবে প্রভাব ফেলে?
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখুন সাংসারিক জীবনের খুঁটিনাটি নাহলে এই দম্পতির মতন কলহ হবে। সব কিছুরই যেমন ভালো দিক আছে, তেমনি কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন কিছু শেয়ার করাটা অবশ্যই খারাপ না। তবে রিয়েল লাইফের চেয়ে বেশি ভার্চুয়াল লাইফে নির্ভরশীল হয়ে যাওয়াটা ব্যক্তি এবং সাংসারিক জীবনের জন্যে খুবই নেতিবাচক।

ভার্চুয়াল সম্পর্ক কেড়ে নেয় মুহূর্ত
আপনাকে একটি উপহার এনে দিল প্রিয়জন। আপনি তা ফেসবুকে আপলোড করতেই ব্যস্ত। কিন্তু আপনার সঙ্গী যে আপনায় একটা সুন্দর গল্প বলতে চেয়েছিল তা আর হলো না। আপনি যখন এমন মানুষগুলোকে নিয়ে ব্যস্ত যারা আপনার হাতের ওই মুঠো ফোনটায় বন্দী। তখন হয়তো, আপনার প্রিয় মানুষটির “থাক পরে বলবো” গল্পটা আপনাকে আর কোনোদিন শোনানো হয় না। এভাবেই কাছের মানুষগুলো থেকে একটু একটু করে বাড়তে থাকে দূরত্ব!

অন্যের প্রভাবে নিজের মন নষ্ট হয়
আমরা এখনও অত আধুনিক হইনি। পাশাপাশি জেনারেশন গ্যাপ বলেও একটা কথা আছে। আমার বা আপনার কাছে যে বিষয়টি খুব স্বাভাবিক, অনেকের কাছেই তা নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি করতে পারে। সেখান থেকে তৈরি হতে পারে হিংসা, কথা কানাকানি, এমনকি অনেকে আপনার দোষ ধরায় ব্যস্ত হয়ে যাবে। এর প্রভাব আপনার ব্যক্তিজীবন এবং সংসার জীবনে পরবেই।

সবাই আনন্দে সামিল হতে পারে না
আপনার আনন্দে সবাই শামিল হবে না এমনটাই স্বাভাবিক। কারণ অনেকের জীবনে ট্র্যাজেডি থাকে। সেই ভাবনা আপনার কাছে আসলে আপনারও মন্দ লাগবে।

কলহ অন্যের আনন্দ
আপনি যখন খুব কষ্ট পেয়ে সাংসারিক কলহ নিয়ে কোন একটা পোস্ট দিচ্ছেন তখন হয়তো অনেকেই তার স্ক্রিনশট কোন গ্রুপে দিয়ে “দেখছিস! বলছিলাম না? ভালো হইছে!” বলে আপনার পিছনে পিছনে তা নিয়ে খুশি হচ্ছে বা মজা নিচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া
স্বামী- স্ত্রীর মধ্যকার বিষয় দুইজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন
আমরা অনেকেই সংসারের খুঁটিনাটি, এমন কী পান থেকে চুন খসলেও তা পরিবার বা বন্ধুদের বলতে ব্যস্ত হয়ে যাই। একসাথে থাকতে গেলে ভালো খারাপ এমন অনেক কিছুই ঘটবে। আজকে খারাপ কালকে ঠিকও হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যাকে আপনার কথাগুলো শেয়ার করছেন তিনি হয়তো আপনার কাছের মানুষটিকে আর আগের চোখে দেখবে না বা সম্মান করবে না। আপনি পরে চাইলেও তা আর পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাই সংসারের ভালো মন্দ যেকোনো কিছুই চেষ্টা করুন স্বামী- স্ত্রীর দুইজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে।

রুচিবোধের মিল রাখুন
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আমরা আমাদের সুবিধার জন্যে ব্যবহার করতেই পারি। তবে যা যেন কোন ভাবেই আমাদের ব্যক্তিগত এবং সাংসারিক জীবনে ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সেটাও ইনশিওর করতে হবে আমাদেরকেই। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আমরা আরও কেয়ারফুল হবো, এমনটাই আশা করি। ভালো থাকবেন।