কর্মস্থলে খারাপ ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৪০

বিশ্বজুড়েই রোজকার কর্মপরিসরে দুর্ব্যবহারের শিকার হয়ে থাকেন বহু মানুষ। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা দাঁড়ায় এই, কর্মক্ষেত্রে ‘শান্তি’ নামক বস্তুটাই থাকে না। অথচ দিনের বেশির ভাগ সময়ই আমরা কর্মক্ষেত্রে কাটাই। আর তাই সেখানকার অশান্তির প্রভাব ব্যক্তির জীবনে অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 
অন্যের খারাপ আচরণের প্রভাবেও অনেকে রাগান্বিত হয়ে পড়েন। চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলতে পারেন কেউ। কর্মক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়ে অনেকেই ভোগেন দীর্ঘমেয়াদী হতাশা আর আত্মবিশ্বাসহীনতায়। এই রাগ, দুঃখ, হতাশা, ক্ষোভ সামলে কীভাবে কর্মজীবনে নিজেকে একটু ভালো রাখা যায় তা একটু জেনে নেওয়া যাক।

একটু ভাবার সময় নিন
ভেবে দেখুন, কোন কোন বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর কোনগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কারও স্বভাবই খারাপ ব্যবহারের হলে কিছু করার নেই। যেগুলোর ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ আছে, সেখানে ইতিবাচকতা নিয়ে আসুন। নিজের সেরাটাই দিন।

পরিস্থিতি যাচাই
খারাপ আচরণের একটা ধারা থাকে। কোন পরিস্থিতিতে একজন মানুষ আপনার সঙ্গে কোন ধরনের দুর্ব্যবহার করছেন, কাজ করতে করতে আপনি তা বুঝতে পারবেন। নিয়মিত হয়ে গেলে বুঝতে হবে আপনার সঙ্গে ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে।

ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না
ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক চাকরিতে আপনার নেই। কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্ক। নিজের কাজটা সর্বোচ্চ সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন। হর্তাকর্তা বা সহকর্মীদের অকারণ খারাপ ব্যবহারকে গনায় ধরবেন না। ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।

ব্যক্তিকে আলাদা করুন
একই অফিসে কাজ করেন, এই পরিচয়ের বাইরেও তার আলাদা একটা পরিচয় আছে অবশ্যই। তার পরিস্থিতিও বাজে হতে পারে। তাই এক জায়গার হতাশা বা ক্ষোভ অন্য জায়গায় ‘বিস্ফোরিত’ করার প্রবণতা তৈরি হয় অনেকের মধ্যেই।

সেন্স অব হিউমারের পরিচয়
মাত্রা ঠিক রেখে প্রতিক্রিয়া দেখান। ব্যাপারটা অনেকটা চিত্রনাট্যের সংলাপের মতো। আপনার ‘সংলাপ’ ঠিক করার সময় খেয়াল রাখুন যুক্তি, শান্তি আর স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর। ‘সেন্স অব হিউমার’ বা রসবোধের পরিচয়ও দিতে পারেন অবস্থা বুঝে।  তবে মনে রাখবেন, কারণ ছাড়া দিনের পর দিন আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অধিকার কারও নেই। সময় থাকতেই নিজের অধিকারের চর্চা করুন।