গায়ে একেবারেই রোদ না লাগালে বা সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভুগতে পারেন ভিটামিন ডি এর অভাবে। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। এটি শরীরকে খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম ব্যবহার করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কমে গেলে চিকিৎসকরা সাপ্লিমেন্ট বা সম্পূরক হিসেবে ভিটামিন ডি খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অত্যধিক ডোজের ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খাওয়াও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। এই অবস্থাকে হাইপারভিটামিনোসিস ডি বলা হয়। এটি সাধারণত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের বড় মাত্রার কারণে হয়, খাবার বা সূর্যের এক্সপোজার থেকে হয় না। এর কারণ শরীর রোদ থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চমাত্রার ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত থাকলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। ক্যালসিয়াম হাড় সুস্থ রাখে। তবে শরীরে ভিটামিন ডি অতিরিক্ত পরিমাণে থাকলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে হাইপারক্যালসেমিয়া। ৮.৫ থেকে ১০.৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম শরীরে থাকলেই যথেষ্ট। স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এতে বমি, পেটে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, সব সময় দুর্বল লাগার মতো লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
ক্ষুধা কমে যেতে পারে হাইপারভিটামিনোসিস ডি এর কারণে।
সবসময় তৃষ্ণা লাগার কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খাওয়া।
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয় হাইপারভিটামিনোসিস ডি এবং হাইপারক্যালসেমিয়ার কারণে।
বারবার প্রস্রাবের বেগ আসার মতো লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
হাড় ব্যথা কিংবা পেশীর দুর্বলতা দেখা দিতে পারে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের উচ্চমাত্রার কারণে।
হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
তথ্যসূত্র মায়ো ক্লিনিক ও ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক