নাড়ু ছাড়া যেন পূজা জমেই না। আর নাড়ু মানেই আমরা বুঝি নারকেল দিয়ে তৈরি মিষ্টি। নারকেলের মধ্যে কখনও চিনি মিশিয়ে, কখনও আবার গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় নাড়ু। পূজা কিংবা কোনও অনুষ্ঠান হলেই বাড়িতে অনেক রকমের নাড়ু বানানো হয়। যেমন তিলের নাড়ু, সুজির নাড়ু, গুঁড়ের নাড়ু আরও অনেক রকমের নাড়ু। ঘরেই সহজে বানিয়ে ফেলতে পারেন নাড়ু। বাড়ির অনুষ্ঠানে নাড়ু ছাড়া মিষ্টিমুখ যেন অসম্পূর্ণ। এবারের পূজায় ভিন্ন রকম নাড়ু বানাতে চাইলে গঙ্গাজলি নাড়ু তৈরি করতে পারেন। শতাব্দী প্রাচীন বিলুপ্ত প্রায় গঙ্গাজলি নাড়ুর স্বাদ অতুলনীয়।
গঙ্গাজলি নাড়ু তৈরির উপকরণ সামান্য। তবে যেটা লাগবে, তা হল ধৈর্য্য। ঝটপট রান্নার পদ এটি নয়। তাই যদি কখনও মনে করেন বাড়িতে গঙ্গাজলি নাড়ু বানাবেন, তাহলে হাতে অনেকটা সময় রাখুন। না হলে নাড়ু ভালো তৈরি হবে না।
জেনে নিন রেসিপি—
উপকরণ:
পূজায় ছোটদের পোশাক
নারকেল বাটা বা কোরা - ১ কাপ
চিনি - ১ কাপ
পানি - ১/২ কাপ
ছোটো এলাচ - ৪ টি
কর্পূর - এক চিমটি
প্রণালী:
নারকেলটা প্রথমে পানিতে বেশ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এতে কোরানোর সময় নারকেলের খোলের খয়েরি অংশ সাদা নারকেল কোরার মধ্যে মিশবে না।
এরপর নারকেলের সাদা অংশটা ছাড়িয়ে বেটে নিন। ব্লেন্ডারে মিহি করে বেটে নিতে পারেন। আবার চাইলে কুরিয়েও নিতে পারেন। বাটার সময় এতে কিন্তু পানি দেবেন না। এবার কড়াই গরম করে, খুব কম আঁচে চিনি এবং পানি দিয়ে সিরা তৈরি করতে শুরু করুন। এতে মিশিয়ে দিন থেঁতো করা এলাচ। চাইলে আবার এলাচ গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। এবার চিনির রস গাঢ় হলে এলাচগুলো তুলে ফেলে দিন। তারপর তাতে নারকেল বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে নারকেলের সঙ্গে রস একেবারে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, চিনির রসে যেন খয়েরি রং না ধরে অর্থাৎ চিনি ক্যারামেলাইস্ না হয়ে পড়ে। এতে নারকেল লাল হয়ে যাবে এবং নাড়ুগুলো সঠিক চেহারা পাবে না। এবার এতে এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে একটা বড় ট্রে বা থালায় ঢেলে শুকোনোর জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন। শুকিয়ে গেলে এটিকে আরও একবার ব্লেন্ডারে বেটে গুঁড়ো পাউডারের মতো তৈরি করতে হবে। অনেকে এই গুঁড়োই মিষ্টি হিসেবে খান। তবে এটি দিয়ে নাড়ু পাকিয়ে নিলে বা ছাঁচে ফেলে অর্ধচন্দ্রাকার দিলে দেখতে বেশি সুন্দর লাগে।