রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বিশেষ করে নারীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিভিন্ন কারণে রক্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে হঠাৎ ধরে পড়ে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি। তবে ক্রমশ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কী?
রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পরিবাহিত হয়ে থাকে। রক্তের তিনটি কণিকার মধ্যে লোহিত কণিকায় থাকে বিশেষ ধরনের আয়রন, যাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিন। এই হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ধমনী থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন সরবরাহ করা।
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কেন হয়?
হিমোগ্লোবিনের অভাব শরীরের একটি সাধারণ সমস্যা। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন এবং খনিজের অভাব হলেই দেখা দেয় হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি। ছোট-বড় সবার শরীরেই হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
যদি গর্ভবতীরা অপুষ্টির শিকার হন এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়; তহলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। হিমোগ্লোবিনের অভাবে রক্ত প্রবাহে রক্তের ক্ষয় হয়। শরীরে অতিরিক্ত অক্সিজেনের অভাবে শরীরে শক্তির অভাব হয়। ফলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এছাড়া শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি থাকে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাবে ত্বক হলুদ হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, ডাক্তার আয়রনের ঘাটতির জন্য নির্দিষ্ট ওষুধের একটি ডোজ লিখে দেন। হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কোনো রোগের লক্ষণ নয়।
হিমোগ্লোবিনের অভাব শুরু হয়, যখন শরীর সঠিক পরিমাণে প্রোটিন পায় না। সাধারণত নারীরা গর্ভবতী হলে, তাদের শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়।
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হলে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?
> মাথাব্যথা
> শ্বাসকষ্ট
> মাথা ঘোরা
> ব্যায়াম করতে অক্ষমতা
> খিটখিটে মেজাজ
> ক্লান্ত বোধ করা
> মনঃসংযোগের অভাব
> দুর্বল লাগা
> হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।