আল-আকসায় জুমার নামাজ আদায়ে ইসরায়েলি পুলিশের বাধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৫

প্রায় চার মাস ধরে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য পবিত্র আল আকসা মসজিদে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েলি পুলিশ। ফলে একাধারে গতকাল ১৭তম শুক্রবার জুমার নামাজ ‍বয়স্ক মুসল্লি ছাড়া অন্যদের মসজিদের ভেতরে পড়তে দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) পবিত্র আল আকসা মসজিদ প্রায় মুসল্লিশূন্য দেখা গেছে। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ জানিয়েছে, সাধারণত পবিত্র মসজিদুল আকসায় ৫০ হাজারের বেশি লোক জুমার নামাজ পড়েন। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মাত্র ১৩ হাজার লোক নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবেশ করতে পেরেছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি পুলিশ ১৭তম জুমার দিন মসজিদে প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর তারা শুধু ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে।
ওয়াকফ কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, ইসরায়েলি পুলিশ ওল্ড সিটির প্রবেশপথে ও আল-আকসা মসজিদের বাইরের গেটে ব্যারিকেড স্থাপন করেছে এবং শুধুমাত্র বয়স্ক ব্যক্তিদের যাওয়ার অনুমতি দেয়। ইসরায়েলি বিধি-নিষেধ থাকায় মুসল্লিরা আল-আকসার বাইরের বিভিন্ন সড়কে জুমার নামাজ পড়েন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার পর থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছে; যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
মক্কা ও মদিনার পর পূর্ব জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মসজিদটি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়।
পূর্ব জেরুজালেম ইসরায়েল অধিকৃত হলেও আল-আকসা এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করে জর্ডান-ফিলিস্তিনের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান।
আল-আকসা প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। মিরাজের রাতে এই মসজিদেই নামাজ আদায় করেছিলেন নবী মুহাম্মদ (সা:)। মক্কায় হজ ও ওমরা পালনের আগে আল আকসা ছিল মুসলিমদের কাছে প্রধান ধর্মীয় স্থান।