বয়সের কারণে চুল-দাড়ি পেকে গেলে কালো রং ব্যবহার করে বয়স গোপন করা নাজায়েজ। হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, মক্কা বিজয়ের দিন আবু বকরের (রা.) বাবা আবু কুহাফাকে নিয়ে আসা হলে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেন, তার চুল কোনো রং ব্যবহার করে পরিবর্তন করে দাও, তবে কালো রং ব্যবহার করো না। (সহিহ মুসলিম: ২১০২)
তবে কারো যদি অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে বয়স হওয়ার আগেই চুল পেকে যায় তাহলে তার জন্য কালো রং ব্যবহার করা জায়েজ।
ইসলামে সাজসজ্জার অংশ হিসেবে চুলে অন্য রং করা নিষিদ্ধ নয় যদি তা কাফেরদের অনুসরণের জন্য করা না হয় এবং মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে তাকে অদ্ভুত কোনো রূপ না দেয়। ইসলামে কাফেরদের অনুকরণ করে সাজসজ্জা গ্রহণ করা যেমন নিষিদ্ধ, স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট সঙ সাজাও নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া চুলে ব্যবহৃত রং এমন হতে হবে, যা চুলের ওপর পৃথক কোনো প্রলেপ তৈরি করে না, বরং চুলের সাথে মিশে যায়। কারণ রং যদি চুলের ওপর প্রলেপ তৈরি করে তাহলে, চুলে পানি না পৌঁছার কারণে তার অজু ও গোসল হবে না। অজুর সময় মাথা মাসাহ করা ফরজ, গোসলের সময়ও পুরো শরীরসহ চুল ধৌত করা ফরজ।
মেহেদির মতো যেসব রং চুলের ওপর পানির জন্য প্রতিবন্ধক আলাদা প্রলেপ তৈরি করে না, ওইসব রং চুলে লাগানো অবস্থায় গোসল ও অজু শুদ্ধ হবে।