সুদের সম্পদ রেখে কেউ মারা গেলে করণীয়

ধর্ম ডেস্ক
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:০২

ঋণের বিনিময়ে সুদ গ্রহণ করা জুলুম ও গুরুতর পাপ। আল্লাহ তাআলা কোরআনে সুস্পষ্টভাবে সুদ হারাম ঘোষণা করেছেন। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। (সুরা বাকারা: ২৭৫) আরেক জায়গায় তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। (সুরা বাকারা: ২৭৮, ২৭৯)
আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুদের সাথে সম্পৃক্ত চার প্রকারের লোককে সমানভাবে দোষী সাব্যস্ত করেন। জাবির ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত তারা বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লানত করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে। তারা হচ্ছে, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদ্বয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী। (সহিহ মুসলিম: ১৫৯৮)
সুতরাং মুসলমানদের জন্য সুদের লেনদেনে জড়িত থাকা হারাম এবং সম্পদ ভোগ করাও হারাম। কেউ যদি সুদের ব্যবসায় জড়িত থাকে এবং সুদের সম্পদ রেখে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে তার ওয়ারিসদের জন্যও হারাম উপায়ে উপার্জিত ওই সম্পদ ভোগ করা জায়েজ হবে না। জমাকারী মূল ব্যক্তির জন্য সুদের সম্পদ ভোগ করা হারাম, তার উত্তরাধীকারীদের জন্যও তা ভোগ করা হারাম।
তাই সুদের টাকা উত্তরাধীকারীদের মধ্যে মিরাস হিসেবে বণ্টন করা নাজায়েজ। এ টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দরিদ্র-অভাবীদের সদকা করে দিতে হবে। পাশাপাশি ওই মৃতের জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে, যেন আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।