সিন্ডিকেট জটিলতায় অনিশ্চয়তায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৭

এক বছরের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ। এরই মধ্যে চলতি বছর দুই দফা ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের’ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেট জটিলতায় শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ।
গত বছর অনুমতি পেয়েও ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৭ হাজার ৯২৬ কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমতি পেলেও তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এরই মধ্যে শ্রমবাজার খোলার পথে নতুন সংকট তৈরি করেছে মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটকের ঘটনা। ওই ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন উদ্বেগ।
অভিবাসন বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের অভিযোগ কেবল নিরাপত্তা ইস্যু নয়, বরং এটি বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি আস্থা সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে এক বছরের বেশি সময়ে ধরে বন্ধ থাকা এ শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মালয়েশিয়ায় পুনরায় শ্রমবাজার খোলা নিয়ে সে দেশের সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে বৈধ উপায়ে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারও উন্মুক্ত হয়।
অভিবাসন ও শরণার্থী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর জাগো নিউজকে বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার ব্যাপারে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ বিষয় নিয়ে যেটা করা যেতে পারে, সেটা হলো দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং পুনরায় করা। যেন শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত হতে বেশি বিলম্ব না হয়। এজন্য প্রো-অ্যাকটিভ ভূমিকা রাখতে হবে। উদ্যোগটা বাংলাদেশকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘যদি মালয়েশিয়া শ্রমবাজার খোলায় কোনো দীর্ঘসূত্রতা করে তাহলে দেশটিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইচ্ছুক কর্মীদের পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) মাধ্যমে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হবে, এই মর্মে মালয়েশিয়াকে আশ্বস্ত করতে হবে। পাশাপাশি এ ঘটনায় বাংলাদেশকেও তদন্ত করতে হবে। বাংলাদেশ চাইলে মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সে দেশে এ বিষয়ে তদন্ত করুক, তাহলে কিছু বিশেষ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। তাহলে এটা আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও শ্রমবাজারের জন্যও ভালো।’
সূত্র: জাগো নিউজ