পাক-ভারত যুদ্ধে বদলে গেলো দৃশ্যপট। যুদ্ধের কারণে আইপিএল ও পিএসএল বন্ধ হয়েছিল বলেই কপাল খুললো সাকিব আল হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমানের। কোনো কিছু না করেও শুধু আইপিএল আর পিএসএলে ডাক পেয়ে সাকিব আর মোস্তাফিজ হঠাৎ শিরোনামে।
সবকিছু ঠিক থাকলে হয়ত দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল খেলবেন মোস্তাফিজ। আর লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পিএসএলে খেলতে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে।
কিন্তু হঠাৎ সাড়া শব্দ নেই রিশাদ হোসেন আর নাহিদ রানার। তারা কোথায়? এ দুই তরুণ কি আবার পিএসএল খেলতে পাকিস্তান যাবেন? নাকি জাতীয় দলের হয়ে আরব আমিরাতের সাথে দুবাইতেই খেলবেন? তা নিয়ে কিন্তু একটি কথাও নেই। চারপাশ দেখে মনে হচ্ছে যেন, সবাই রিশাদ ও নাহিদ রানার কথা বেমালুম ভুলে গেছেন।
আসলে কি রিশাদ আর নাহিদ রানা কি আর পিএসএল খেলবেন? যুদ্ধ না হয়ে যদি পিএসএল চলতো, তাহলে দু’জনই হয়তো আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করতেন।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরুর পর তারা দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু এখন? এখন তারা কী করবেন? এ নিয়ে কেউ অবশ্য একটি কথাও বলেননি।
বোর্ড থেকেও কোন রকম তথ্য দেয়া হয়নি।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দু’জনের কেউই আর পিএসএল খেলবেন না। জীবনের ঝঝুকি নিয়ে বিশেষ বিমানে করে রাওয়ালপিন্ডি থেকে বিশেষ বিমানে করে দুবাই হয়ে দেশে ফেরার পর রিশাদ ও নাহিদ রানা ভেতরে ভেতরে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা আর পিএসএল খেলতে পাকিস্তান যাবেন না।
যদিও রিশাদের দল লাহোর তাকে পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল; কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা আর হচ্ছে না। কি করে হবে? ১৭ মে আরব আমিরাতে প্রথম ম্যাচ পেশোয়ার জালমি আর করাচির। এরপর দিন মানে, ১৮ মে নাহিদ রানার দল পেশোয়ার জালমির খেলা লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে। রিশাদ হোসেনের দল লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচ বাকি একটি। কাজেই তাদের দু’জনার আর পিএসএল খেলার কোন সুযোগও নেই।
এদিকে রিশাদ আর নাহিদ রানা মুখ ফুটে বলেননি যে, আমরা আর পিএসএল খেলতে যাব না। বোর্ড থেকেও এমন কোন ঘোষণাআসেনি যে তারা আর পিএসএল খেলতে যাবে না। তবে ধরেই নেয়া হচ্ছে যে রিশাদ আর নাহিদ রানা আর এক ২ ম্যাচের জন্য পিএসএল খেলতে যাবেন না।
বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমান জানিয়েছেন, আগামী ১৯ মে’র আগে (মানে আরব আমিরাতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত) রিশাদ ও নাহিদ রানা এমনিতেও ছুটি পাবে না। তারপর যদি তাদের কোন দল তাদের কাউকে চায় তাহলে পেতে পারে।
এদিকে শেষ খবর হলো, রিশাদের দল লাহোর কালান্দার্স এরই মধ্যে সাকিব আল হাসানকে দলে টেনেছে এবং সুপার ফোরের লড়াইয়ে সাকিবই থাকবেন রিশাদের বিকল্প। আর নাহিদ রানার দল পেশোয়ার জালমির সেরা চারে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাই তার ডাক পড়ার সম্ভাবনা শুণ্যের কোঠায়।