বাংলাদেশের ওপর ভারতের আগের মতো প্রভাব আর নেই। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
এর মধ্যে ভারতীয় মিডিয়ায় দিনের পর দিন চলছে নির্লজ্জ মিথ্যাচার। সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ নানা ধরনের মিথ্যা খবর ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জনগণের মধ্যেও বাংলাদেশ-বিরোধী একটা মনোভাব তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব দেখা গেলো মোস্তাফিজুর রহমানকে দিল্লি ক্যাপিটালস চুক্তিবদ্ধ করার পর।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর অনেক বিদেশি খেলোয়াড় দেশে চলে গেছেন। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দল সাজাতে হিমসিম খাচ্ছে। বাধ্য হয়েই বিকল্প খেলোয়াড়ের দিকে হাত বাড়িয়েছে তারা।
এবারের আইপিএল ড্রাফটে বিক্রি না হলেও মাঝপথে এসে ডাক পেয়েছেন মোস্তাফিজ। তাতেই আপত্তি ভারতীয় তথা দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট সমর্থকদের। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের ডাক তুলেছেন তারা।
আইপিএল-২০২৫ মৌসুম আবারও ১৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্টটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ায় বাকি ম্যাচগুলির জন্য একটি নতুন ক্রীড়া সূচি প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে কিছু বিদেশ খেলোয়াড় আর ফিরে আসতে রাজি হচ্ছেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিসিসিআই সমস্ত দলকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বদলি খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর করার অনুমতি দিয়েছে।
এই নিয়মের অধীনে, দিল্লি ক্যাপিটালস বুধবার (১৪ মে) মোস্তাফিজুর রহমানকে চুক্তিবদ্ধ করার ঘোষণা করে। তরুণ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, যিনি বাকি ম্যাচগুলির জন্য ভারতে ফিরতে রাজি নন, তার জায়গায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় মোস্তাফিজুরকে।
কিন্তু দিল্লির এই সিদ্ধান্ত হজম করতে পারছেন না ক্রিকেট ভক্তরা। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে সই করানোর সিদ্ধান্তের জন্য দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজির তীব্র সমালোচনা করছেন তারা, তুলেছেন দিল্লি ম্যাচ বয়কটের দাবি।
শুধু ক্যাপিটালসই নয়, মোস্তাফিজকে লিগে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায় বিসিসিআইয়ের উপর চটেছেন ভক্তরা। ভক্তদের এই ক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। আইপিএল থেকে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে।