বিসিবিতে দুদক আসা এখন আর নতুন খবর নয়। কিছুদিন আগেও দুদক কর্মকর্তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিবিতে এসেছিলেন। আজ (শনিবার) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামস্থ বিসিবি কার্যালয়ে আবার এলো দুদক কর্মকর্তারা। বোর্ডে গিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ আলোচনা, জিজ্ঞাসাবাদ করলেন।

একটা পর্যায়ে গিয়ে সাংবাদিকদেরও ব্রিফ করা হলো। সেখানেই জানা গেল শনিবার কেন, কি কারণে দুদক কর্মকর্তাদের আগমণ বিসিবিতে? দুদক কর্মকর্তা রাজু আহমেদের কথায় পরিষ্কার, তারা আজ এসেছিলেন কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই। মূলতঃ তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে দল বাছাইয়ের অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে। পাশাপাশি গঠণতন্ত্র এবং অন্যান্য আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তেই এসেছিলেন দুদক কর্তারা।

দুদক কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ‘আজকে অভিযানের বিষয়টা ছিল, তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম। পাশাপাশি গঠনতন্ত্র এবং অন্যান্য আর্থিক অথবা বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় সার্বিক অভিযোগ নিয়ে আমরা এসেছি। সেই অভিযোগের আলোকে আমরা বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি। সেগুলো সকাল থেকে পর্যালোচনা করলাম। বিভিন্ন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট যারা আছে, তাদের সবার সঙ্গে কথা বললাম। আরও কিছু রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করব, কিছু বক্তব্য গ্রহণ করব।’

রাজু আহমেদ আরও বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ দল বাছাইয়ের ইস্যু কতটা স্বচ্ছ ছিল, তার বৈধতাই বা কেমন ছিল, পুরো প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম ছিল কিনা, তা খুঁটিয়ে দেখতেই এসেছিলাম আমরা।’

পাশাপাশি বিসিবির গঠনতন্ত্র কতটুকু বৈধ বা সিদ্ধ, সেগুলো পর্যালোচনা করার কথাও বলেন দুদক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল যে, গঠণতন্ত্রে কিছু অসঙ্গতি আছে। এ বিষয়ে আদালতের একটা রায় ছিল, সেই আলোকে সংশোধিত হয়ে গঠণতন্ত্র পরিচালিত হচ্ছে। বিসিবি একটি সুসংগঠিত কাঠামোবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু এ জায়গায় আমরা গ্যাপ দেখেছি। এখানে চাকরির সঠিক নীতিমালা নেই। আরও কিছু গ্যাপ দেখেছি। এ বিষয়টা আমরা আরও পর্যালোচনা করতে চাই। দেখতে চাই, আদতে এই ব্যাপারটা কেমন? ভবিষ্যতে কী পরিকল্পনা আছে, বিগত সময়ে কেন তৈরি করা হয়নি, সেই বিষয়গুলো আমরা যাচাইবাছাই করব।’