যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেছেন পেনসিলভানিয়াতে। আর রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচারণা শেষ করেছেন মিশিগানে।
বলা হয়, দোদুল্যমান সাতটি অঙ্গরাজ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করে দেয়। এ সাত অঙ্গরাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানের প্রাথমিক গুরুত্ব হলো তাদের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ও সাধারণ (পপুলার) ভোটের সংখ্যা।
পেনসিলভানিয়ায় এবার ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ১৯। মোট জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। ২০২০ সালে অঙ্গরাজ্যটিতে জো বাইডেন প্রায় ৮২ হাজার ভোটে জিতেছিলেন।
কমলা ও ট্রাম্প এবার যেসব অঙ্গরাজ্যে বেশি নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন, পেনসিলভানিয়া তাদের অন্যতম।
অন্যদিকে মিশিগানে এবার ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ১৫। জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি। ২০২০ সালে অঙ্গরাজ্যটিতে বাইডেন ১ লাখ ৫০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন।
মিশিগান ‘ব্লুল ওয়াল’ অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। কারণ, অঙ্গরাজ্যটিতে কয়েক দশক ধরে ডেমোক্র্যাটরা জিতে আসছিল।
সাত অঙ্গরাজ্যর ৯৩ ইলেকটোরাল ভোটই হতে পারে নির্ধারক
তবে ২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিশিগানে জিতেছিলেন ট্রাম্প। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে বাইডেন অঙ্গরাজ্যটি পুনরুদ্ধার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এবার মোট ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৩৮। কোনো পার্টির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের জিততে হলে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে।