মার্কিন পার্লামেন্টের দুই কক্ষই এবার রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। ফলে, আট বছরে প্রথমবারের মতো কর ও জাতীয় ব্যয় সংকোচন সংক্রান্ত নীতি ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের মতো ইস্যুতে নিজের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে খুব একটা বাধার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা নেই ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রিপাবলিকান আইনজীবী ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামনের চার বছরের জন্য নিজের সম্ভাব্য লক্ষ্য ঠিক করে রেখেছেন ট্রাম্প। তার অগ্রাধিকার তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে ২০১৭ সালের কর হ্রাস নীতির আওতা বৃদ্ধি, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে বহুল আলোচিত দেয়াল নির্মাণে অর্থায়ন, ডেমোক্র্যাটদের বরাদ্দ দেওয়া অব্যবহৃত তহবিল বাতিল করা, শিক্ষা অধিদফতর বাতিল এবং কনজুমার ফাইন্যান্সিয়াল প্রটেকশন ব্যুরোর মতো সংস্থার ক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি।
মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি'র ভোট গণনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) পর্যন্ত সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৫২টিই রক্ষণশীলদের দখলে গেছে। এখনও পরিপূর্ণ হিসাব না এলেও, হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানদের আধিপত্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচনি প্রচারণায় কর হ্রাস নীতির আওতা বৃদ্ধির কথা বলে যথেষ্ট সমর্থক টেনেছেন ট্রাম্প। তার দাবি অনুযায়ী, এবারের নীতিতে ওভারটাইম ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার ওপর থেকে কর মওকুফ করা হবে। তবে তার এই পরিকল্পনায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই নীতি বাস্তবায়ন হলে দেশটি পরবর্তী এক দশকে বাড়তি সাড়ে সাত ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণে পড়তে পারে। ফলে ট্রাম্প নিজের নীতির ফাঁদেই জড়িয়ে যেতে পারেন। কেননা, রিপাবলিকানদের অন্যতম লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণের লাগাম টেনে ধরা।
হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসের রিপাবলিকান সদস্য স্টিভ স্ক্যালিস বলেছেন, সার্বিকভাবে করের বোঝা লাঘব করা হলে জনসাধারণের আয় বৃদ্ধি পায়। ফলে কোষাগারের ভাণ্ডারেও উন্নতি হয়। ইতিহাস আমাদের তাই শিখিয়েছে। আপনি দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অবশ্যই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে, যা ঋণের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনবে।
তাদের পরিকল্পনার সমালোচনা করে বিশেষজ্ঞ মার্ক গোল্ডওয়েইন রয়টার্সকে বলেছেন, ট্রাম্পের কর সংকোচন নীতি আসলে দেশের রাজস্ব আয় কমিয়ে দিয়েছিলো। রিপাবলিকানরা উন্নয়নের এক কাল্পনিক গল্প শোনাচ্ছে।