ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন যারা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২:০৯

বুধবার (৬ নভেম্বর) ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের কনভেনশন সেন্টারে পরিবার ও দলীয় সদস্যদের উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন 
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন তিনি তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ও শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্বাচন করবেন, যার বাছাই প্রক্রিয়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে। ট্রাম্পের মন্ত্রীসভায় কারা স্থান পেতে পারেন, তা নিয়ে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। আসুন দেখে নিই সেই তালিকা।

ট্রেজারি সেক্রেটারি

স্কট বেসেন্ট:
স্কট বেসেন্ট ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। তাকে অর্থমন্ত্রী অর্থাৎ মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতা করা বেসেন্টকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে অন্যতম প্রধান প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জন পলসন:
ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে ট্রাম্পের বিবেচনায় থাকতে পারেন জন পলসনও। ট্রাম্পের তহবিলে একজন অন্যতম দাতা ধনকুবের পলসন। পলসন এই পদে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তার সহযোগীরা।

ল্যারি কুডলো:
ল্যারি কুডলোও ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে স্থান পেতে পারেন। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অধিকাংশ সময় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনে অর্থমন্ত্রী হতে পারেন এমন ব্যক্তিদের তালিকায় আরও আছেন ট্রাম্পের বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রবার্ট লাইটহাইজার। সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি হতে পারেন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের কো-চেয়ার লুটনিকও। তবে অর্থমন্ত্রীর এই পদে সম্ভাবনা বেশি বেসেন্ট ও পলসনের।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে রিচার্ড গ্রেনেলকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। তার পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্যতম গ্রেনেল। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া তিনি জার্মানিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রবার্ট ও’ব্রায়েন:
রবার্ট ও’ব্রায়েনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে পারেন ট্রাম্প। তার প্রথম মেয়াদের সর্বশেষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন ও’ব্রায়েন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা অন্য শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত পদে নিয়োগ পেতে চাইছেন বলে জানা গেছে।

বিল হ্যাগারটি:
বিল হ্যাগারটিরও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তালিকায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন টেনেসির এই সিনেটর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদের জন্য হ্যাগারটিকে একজন শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

মার্কো রুবিও:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত সিনেটর রুবিওর নীতির সঙ্গে ট্রাম্পের নীতির বেশ মিল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিনেটের বৈদেশিক বিষয়সংক্রান্ত কমিটিতে আছেন রুবিও।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী

মাইক ওয়াল্টজ:
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে যেসব নাম আলোচনায় তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বর্তমান ফ্লোরিডার কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সিআইএ পরিচালক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাইক পম্পেও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে অন্যতম শীর্ষ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

মাইক পম্পেও:
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মাইক পম্পেওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পম্পেও সিআইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন ট্রাম্প। পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় তাকে গুরুত্বপূর্ণ এই তালিকায় রাখতে পারেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে পারেন এমন ব্যক্তিদের তালিকায় আরও আছেন টম কটন। আরকানসাসের এই সিনেটরকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন ট্রাম্প। জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোনো পদে আসতে পারেন কেলগও। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে সম্ভাব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারির দায়িত্ব পেতে পারেন টম হোম্যান। এছাড়া চ্যাড উলফের নামও এই পদের জন্য আলোচনায় রয়েছে।