পোপের কাছে ট্রাম্পকে সামলানোর পরামর্শ চেয়েছিলেন ম্যার্কেল

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫৬

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে কীভাবে সামলাতে হবে সে বিষয়ে পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত হতে যাওয়া আত্মজীবনীতে এই কথা লিখেছেন ম্যার্কেল। 
‘ফ্রিডম: মেমোরিজ ১৯৫৪-২০২১' নামের আত্মজীবনীতে ম্যার্কেল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন। বইটি প্রকাশের আগে সেখান থেকে কিছু অংশ বুধবার জার্মান সাপ্তাহিক ডি সাইট-এ প্রকাশ করা হয়।   
জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিতে পারেন- এই আশঙ্কা থেকে পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন ম্যার্কেল। পোপকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, মৌলিকভাবে ভিন্ন মতাদর্শের' মানুষের সঙ্গে কীভাবে চলা যায়। প্রশ্নটি যে ট্রাম্প ও জলবায়ু চুক্তি থেকে তার সরে যাওয়ার ইচ্ছার প্রেক্ষিতে করা হয়েছে তা পোপ সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যান বলে ম্যার্কেল তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন। উত্তরে পোপ ম্যার্কেলকে বলেছিলেন, বাঁকান, বাঁকান, বাঁকান, কিন্তু নিশ্চিত করবেন যেন ভেঙে না যায়।
ট্রাম্প সম্পর্কে ম্যার্কেল বলেন, তিনি (ট্রাম্প) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও অন্য কর্তৃত্ববাদী নেতাদের প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। তিনি সবকিছুকে প্রোপার্টি ডেভেলপারের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতেন। একটি জমি একবারই বিক্রি করা যায়, এবং তিনি যদি এটা না পান, তাহলে অন্য কেউ এটা পাবে ন। এভাবেই তিনি বিশ্বকে দেখতেন, ট্রাম্প সম্পর্কে বলেন ম্যার্কেল।
২৬ নভেম্বর ৩০টির বেশি দেশে ম্যার্কেলের আত্মজীবনী প্রকাশিত হবে। এর এক সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্রে বইটি উন্মোচন করা হবে। ঐ অনুষ্ঠানে ম্যার্কেলের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থাকবেন।
১৬ বছর চ্যান্সেলর থাকার পর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময়ও ম্যার্কেল জনপ্রিয় ছিলেন। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও জার্মানির বর্তমান আর্থিক সংকটের জন্য ম্যার্কেলের সময়ে রাশিয়ার জ্বালানির উপর জার্মানির অতি নির্ভরশীলতাকে দায়ী করেন কিছু মানুষ।
তবে ম্যার্কেল কখনো তার রাশিয়া নীতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেননি।
পুতিন সম্পর্কে ম্যার্কেল তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, তিনি সবসময় চাইতেন তাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। 'আমি তাকে এমন একজন হিসেবে অনুভব করেছি যিনি অসম্মানিত হতে চান না,' লিখেছেন ম্যার্কেল। 
ম্যার্কেল লিখেছেন, পুতিন তাকে একসময় ইউক্রেন নিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি সবসময় চ্যান্সেলর থাকবেন না, তখন তারা ন্যাটোতে (ইউক্রেন) যোগ দেবে। আর আমি এতে বাধা দিতে চাই।