বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ফ্লোরিডার পাম বিচে তাদের মধ্যে এই বৈঠক হয় বলে এক বিবৃতিতে জানায় ন্যাটো। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ন্যাটোপ্রধানের সঙ্গে এটিই প্রথম সাক্ষাৎ ট্রাম্পের।
বিবৃতিতে ন্যাটো জানায়, তারা (ট্রাম্প ও রুটে) বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মনোনীত মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন রুটের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। বিবৃতিতে আর কোনো তথ্য জানায়নি জোটটি।
সম্প্রতি রাশিয়ায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর একদিন পরই ১৯ নভেম্বর মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালায় ইউক্রেন।
তবে রাশিয়ায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় বাইডেনের ওপর ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্পের মিত্ররা। কারণ, ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এ বিষয়ে ট্রাম্প কোনো মন্তব্য না করলেও, বাইডেনের সিদ্ধান্তে উত্তেজনা বাড়বে বলে মনে করছেন তার ঘনিষ্ঠরা। এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে, এমনটা বলছেন বিশ্লেষকরাও।
কেউ কেউ বলছেন, ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ বাধতে পারে। এমনকি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স আশঙ্কা প্রকাশ করে ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ওরফে ডন জুনিয়র লেখেন, মনে হচ্ছে তারা (বাইডেন প্রশাসন) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু করতে চায়, যাতে আমার বাবা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ও জীবন বাঁচাতে না পারেন। তাদের শুধু ট্রিলিয়ন ডলার মুনাফা চায়, জীবন কোনো মূল্য নেই তাদের কাছে।
রাশিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ভ্লাদিমির জাবারভও বলেন, এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পথে বড় পদক্ষেপ। এমন প্রেক্ষাপটে ন্যাটোপ্রধানের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।