মেক্সিকো, কানাডা ও চীনা পণ্যে বাড়তি করারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১৪

অনিয়মিত সীমান্ত ক্রসিং এবং মাদক পাচারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি চীনা পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই এই শুল্কনীতি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসী এবং মাদক পাচার শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত এই শুল্ক নীতি বহাল রাখার কথাও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। 
তিনি বলেন, মেক্সিকো ও কানাডা উভয় দেশেরই দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা (অভিবাসন) সমাধান করার সহজ পদ্ধতি এবং ক্ষমতা রয়েছে। আমরা আশা করি যে তারা এই ক্ষমতা ব্যবহার করবে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা এই সমস্যা সমাধান না করছে ততক্ষণ তাদের এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
ট্রাম্প তার আরেক পোস্টে বলেছেন, তিনি চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবেন। চোরাচালান বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত চীনা পণ্যের উপর এই অতিরিক্ত কর আরোপ বহাল রাখবে ট্রাম্পের প্রশাসন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে এমনটিই জানিয়েছেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প চীনা পণ্য আমদানিতে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এছাড়া মেক্সিকো থেকে আমদানি করা যানবাহনের ওপর ১,০০০ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
চীনের প্রতিনিধিরা ট্রাম্পকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারা মাদক পাচারকারী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করবে। কিন্তু চীন সে কথা রক্ষা করেনি বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান না করে তারা মেক্সিকো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক চালান করছে। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অটোয়া ও বেইজিং। কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে-বিশেষ করে বাণিজ্য ও সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক বেশ গুরুত্বপূর্ণ’।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্তের অখণ্ডতাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় কানাডা। দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে বলে মনে করেন কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী। ট্রাম্পের কর নীতি প্রসঙ্গে চীনের এক রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেছেন যে, বাণিজ্য যুদ্ধে কোনো পক্ষই সফল হতে পারে না।
দূতাবাসের ওই মুখপাত্র বলেন, চীনের ওপর মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বেইজিং বিশ্বাস করে যে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রকৃতিগতভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। ট্রাম্পের এই বাণিজ্য নীতি বৈশ্বিক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।