প্রথম দফা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন পলিসি ছিল বেশ কঠোর হয়ে উঠেছিল। তার প্রশাসন বেশ কিছু কঠোর নিয়মকানুন এবং সীমিত অভিবাসন নীতিমালা চালু করেছিল। তার পুর্নিবাচনের পর অনেক সম্ভাব্য বিষয় নিয়ে এরমধ্যেই ইমিগ্রেশন বিষয়ক নাগরিক সংগঠনগুলোর মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে "সীমান্তে দেয়াল" নির্মাণ তার প্রধান অগ্রাধিকার ছিল। তার দ্বিতীয় মেয়াদে এই প্রকল্প আরও বিস্তৃত হবে। মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আরও কঠোর নজরদারি এবং প্রযুক্তিগত বিভিন্ন আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রিন কার্ড ও অস্থায়ী ভিসার সংখ্যা কমানো হতে পারে। শরণার্থী ও আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য কঠোর নিয়ম চালু করা হতে পারে। ট্রাম্প পূর্বে DACA (ড্রিমারস কর্মসূচি) বাতিল করার চেষ্টা করেছিলেন। তার প্রশাসন নতুন করে আবার এই নীতিমালার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। পরিবার ভিত্তিক ইমিগ্রেশন (চেইন মাইগ্রেশন) সীমিত করার উদ্যোগও বাড়তে পারে। কর্মসংস্থান ভিত্তিক ভিসার ক্ষেত্রে আরও কঠোর স্ক্রুটিনি হতে পারে, বিশেষত প্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য H-1B ভিসায়।
ট্রাম্পের প্রশাসন মুসলিম প্রধান কিছু দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে এমন নিষেধাজ্ঞা নতুনভাবে কার্যকর করা হবে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের উপর বিরক্ত বহু মুসলিম আমেরিকান ট্রাম্পকে ভোট প্রদান করেছেন। মুসলিম আমেরিকানদের সাথে ট্রাম্প সম্পর্ক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় যাবেন না, সংঘাতের দিকে যাবেন - তা দেখার অপেক্ষায় মার্কিন মুসলমানরা। অভিবাসন আইনের লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার এবং ডিপোর্টেশনের হার আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি এরমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। কীভাবে তা কার্যকর করা হবে, এ নিয়ে প্রতিদিনই এখন জোর আলোচনা চলছে ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের মধ্যে।