তাইওয়ানের কাছে নতুন করে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের নতুন অস্ত্র বিক্রিতে সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক গভীর করার সর্বশেষ লক্ষণ। বিষয়টি চীনকে ক্রমাগত অস্থির করে তুলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে যুদ্ধবিমানের খুচরা যন্ত্রাংশসহ এসব সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হবে।
ডিএসসিএ বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদিত এই নতুন প্যাকেজ নিশ্চিত করবে যে, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবেলা করতে তাইওয়ান তার এফ-১৬ অপারেশনাল প্রস্তুতি বজায় রাখবে।
স্বায়ত্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজের বলে দাবি করে চীন। অঞ্চলটিকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীকরণের লক্ষ্য অর্জনে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি। দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে আসছে।
এদিকে উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার (৩০ নভেম্বর) তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রে রওনা হয়েছেন।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে এক ভাষণে লাই বলেন, এই সফর 'মূল্যবোধভিত্তিক গণতন্ত্রের নতুন যুগের সূচনা করেছে'।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী ও পৃষ্ঠপোষক।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ান ইস্যুটি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা, দ্ব্যর্থহীনভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এবং চীনের শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণকে সমর্থন করা।