আমেরিকা-কানাডা সীমান্তের দায়িত্ব থাকা মার্কিন শুল্ক বিভাগ এবং সীমান্ত টহলদারি বাহিনীর (ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রল-সিবিপি) হাতে এই সংক্রান্ত যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে বলা হচ্ছে, গত এক বছরে কানাডা থেকে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করতে চাওয়া ভারতীয়দের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। ফলে সামগ্রিকভাবেও অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে।
চলতি আর্থিক বছর সিবিপি যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে কানাডার সীমান্ত পেরিয়ে বেআইনিভাবে আমেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করা হয় ১,০৯,৫৩৫ বার। এই আইনভঙ্গকারীদের মধ্যে ভারতীয়দের পরিমাণ ছিল ১৬ শতাংশ।
২০২৩ সালে মোট ১,৮৯,৪০২ বার কানাডা থেকে আমেরিকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা সামনে আসে। যদিও তখন পর্যন্ত ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের পরিমাণ আগের মতোই ১৬ শতাংশ (৩০,০১০) ছিল।
কিন্তু ২০২৪ সালে কানাডা থেকে আমেরিকায় যারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন, তাদের মধ্যে ভারতীয়দের পরিমাণ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এবছর এখন পর্যন্ত মোট ১,৯৮,৯২৯ বার কানাডা থেকে আইন ভেঙে আমেরিকায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করা হয়। যার মধ্যে ৪৩,৭৬৪ বার এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন ভারতীয়রা। অর্থাৎ অভিযুক্তদের ২২ শতাংশই ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এই হিসাবের আওতায় শুধুমাত্র তাদেরই রাখা হয়েছে, যারা মার্কিন নজরদারি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে গেছেন। আদতে কানাডা থেকে আমেরিকায় অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এদিকে, দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগেই ট্রুডো সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সাফ কথা, কানাডা যদি আমেরিকার ২৫ শতাংশের ট্যারিফের গুঁতো থেকে বাঁচতে চায়, তাহলে অবিলম্বে এই অনুপ্রবেশ সমস্যা মেটাতে হবে।
কানাডার সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, শুক্রবার আগাম কোনো ঘোষণা ছাড়াই ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোয় আয়োজিত একটি থ্য়াঙ্কস গিভিংয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন জাস্টিন ট্রুডো। বলা হচ্ছে, বিশেষ করে ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করতেই নাকি ট্রুডোর এই হঠাৎ সফর!
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস