নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে এমন রাজনীতিবিদদের অগ্রিম ক্ষমা ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। আর এমন দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। এদিকে, অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত সাধারণ নাগরিকদেরকেও ক্ষমা করার দাবি তুলেছেন আইনপ্রণেতারা ও নাগরিক অধিকারকর্মীরা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ছেলে হান্টার বাইডেনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর, অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এমন অন্য ব্যক্তিদেরকেও ক্ষমা করে দেয়ার দাবি উঠেছে। এছাড়া নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই তার প্রতিহিংসার শিকার হতে পারেন এমন ব্যক্তিদের অগ্রিম ক্ষমা করা যায় কিনা তা নিয়ে হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে ডনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিলো, তার বিরুদ্ধে নানা কারণে বিভিন্ন সময় অবস্থান নেয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া। তার এই হুমকিতে উদ্বিগ্ন ক্যাপিটল হিলের কর্মকর্তারা। তারা খতিয়ে দেখছে ২০১৯ ও ২০২১ সালে ট্রাম্পকে অভিশংসন প্রচেষ্টার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাদেরকেও জো বাইডেন ভবিষ্যৎ হয়রানিমূলক সাজা থেকে অগ্রিম ক্ষমা প্রদান করতে পারেন কিনা।
এফবিআই ডিরেক্টর হিসেবে ট্রাম্পের মনোনীত ক্যাশ প্যাটেল ইতোমধ্যেই ট্রাম্পের সমালোচকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অগ্রিম ক্ষমার বিষয়ে বিস্তারিত কোন আলোচনায় অংশ নেননি। তবে এ বিষয়ে তিনিই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনার তদন্তে সহায়তাকারী এবং ট্রাম্পের সমালোচক, সাবেক রিপাবলিকান লিয চেইনি ট্রাম্পের নিশানায় রয়েছেন। যেহেতু অ্যামেরিকার সংবিধান প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা করার ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে। তাই বাইডেন চাইলেই এমন হুমকির মুখে থাকা ব্যক্তিদের অগ্রিম ক্ষমা করতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যায্যভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত নাগরিকদেরও ক্ষমা করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইনপ্রণেতা ও নাগরিক অধিকার কর্মীদের একটি অংশ। তাদের মধ্যে আছেন হাউয মাইনোরিটি লিডার হাকিম জেফ্রিসও।