রাশিয়া, ইরান, কোরিয়া ও চীন নিয়ে নিরাপত্তা সংস্থাকে বাইডেনের চাপ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫২

রাশিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া ও চীনের মধ্যকার ঝুঁকিপূর্ণ ও গভীর সম্পর্ক মোকাবিলায় নতুন কৌশল নিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে চাপ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন কর্মকর্তারা এ কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই এ কথা বলেন বাইডেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করার বিনিময়ে মিত্র দেশ ইরানকে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি দিচ্ছে মস্কো। গত মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক এক স্মারকলিপিতে এ কথা বলেন জো বাইডেন। গোপন এই নথিটির সাধারণ শর্তাবলি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করা হয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স আলাদাভাবে নথিটি পর্যালোচনা করেনি।
মার্কিন প্রশাসন বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়াকে জ্বালানি, অর্থ এবং প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে। পাশাপাশি দেশটিকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। রাশিয়া চীনের সঙ্গে মেরু অঞ্চলে যৌথভাবে টহল দিচ্ছে।
তবে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া অতীতের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের মূল্যায়নের বিরোধিতা করেছে। দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল আচরণের অভিযোগ এনেছে।
জো বাইডেনের নতুন এই নথিতে আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোকে পুনর্গঠন করার জন্য মার্কিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য চার দেশের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলোর ওপর আরও ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নথিতে উল্লেখিত কৌশল ও নীতিসংক্রান্ত পরামর্শগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেন আবার সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যানও করতে পারেন। তিনি আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নতুন প্রশাসন এই পরামর্শগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবে, এগুলো এক পাক্ষিক নয়। এগুলো তাঁদের নির্দিষ্ট কোনো একটি নীতি গ্রহণে বাধ্য করবে না।
অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা নতুন সরকারের জন্য বিভিন্ন বিকল্প ব্যবস্থা রেখে যেতে চান, যাতে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রশাসনের জন্য কাজ করা সহজ হয়।
এই দুই কর্মকর্তা বলেন, সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এই চার দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা কিংবা রপ্তানিসংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপের পর পাল্টা আঘাতের ঝুঁকি এড়ানো এবং এসব দেশকে কেন্দ্র করে যেসব সংকট দেখা দিয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে নিরসনের সক্ষমতা অর্জন করা।
দুই কর্মকর্তার একজন বলেন, ‘আমরা এখন এমন এক বিশ্বে বসবাস করছি, যেখানে আমাদের উপদেষ্টা এবং প্রতিদ্বন্দ্বীরা খুব দ্রুতই একে অন্যের কাছ থেকে শিখছে।’
অন্য কর্মকর্তা বলেন, তবে এই চার দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ সীমিত। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়া ও ইরান তাদের মিত্র সিরিয়ার বাশার আল-আসাদকে সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছুদিন আগে সিরিয়ার মসনদ থেকে বিদ্রোহীরা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।