সিরিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজকে ফোনে এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। ফোনালাপের পর গতকাল বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন এ-সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছে।
পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল কাটজকে লয়েড অস্টিন বলেছেন, সিরিয়ায় যা ঘটছে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ থাকাটা জরুরি। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে নিবিড় আলাপ-আলোচনা হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
ইসরায়েল কাটজকে লয়েড অস্টিন আরও বলেছেন, সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন। সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবর্তনকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে জঙ্গিসংগঠন আইএস যাতে আবার নিরাপদ আশ্রয়স্থল প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র তৎপরতা অব্যাহত রাখবে বলেও উল্লেখ করেছেন লয়েড অস্টিন।
বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের ঝটিকা আক্রমণে গত রোববার সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতন হয়। তিনি সিরিয়া থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় হামলা জোরদার করে ইসরায়েল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদের পতনের পর এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় পাঁচ শতাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সিরিয়ার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফেরার যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ইসরায়েলের বেপরোয়া বিমান হামলায় তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে সিরিয়ার সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।