ট্রাম্প প্রস্তাবিত বিল হাউসে খারিজ

শাটডাউনের মুখে সরকার
ডেস্ক রিপোর্ট
  ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৩৯

সরকারি খরচ চালানোর জন্য মার্কিন নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত প্যাকেজসহ বিল খারিজ হয়েছে। এ কারণে শাটডাউনের মুখে পড়েছে ফেডারেল সরকার। 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাময়িকভাবে সরকারি খরচ চালাতে এবং সরকারি শাটডাউন এড়াতে এই বিল পাস করার দরকার ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান সংখ্যাধিক্য থাকা সত্ত্বেও মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে তা পাস করানো সম্ভব হলো না। 
এই বিলের বিরুদ্ধে ৩৮ জন রিপাবলিকান সদস্য দিয়েছেন। অধিকাংশ ডেমোক্র্যাট সদস্যও বিরুদ্ধে ভোট দেন। শুক্রবার রাতের মধ্যে নতুন প্রস্তাব পাস না করলে শনিবার থেকে শাটডাউনের মুখে পড়বে সরকার।
এই শাটডাউনের অর্থ, সীমান্ত সুরক্ষা, হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মতো জরুরি বিষয়গুলি চালু থাকবে। কিন্তু অনুমোদিত অর্থ না থাকায় জরুরি নয় এমন সব ক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সরকারি কর্মী বেতন পাবেন না। 

আগের পরিকল্পনা খারিজ করেন ট্রাম্প ও মাস্ক

এর আগে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের সম্মতিতে খরচ চালাবার একটি সাময়িক প্যাকেজ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প ও তার সহযোগী ইলন মাস্ক গত বুধবার তা খারিজ করে দেন।
তার জায়গায় নতুন একটি প্যাকেজ নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে শুক্রবার ট্রাম্প জানান, তিনি এই নতুন পরিকল্পনা সমর্থন করছেন। সেখানে আগামী দুই বছর জাতীয় সরকারের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সিলিং রাখা হয়নি।
ডেমোক্র্যাটরা জানিয়ে দেয়, তারা এই প্রস্তাব সমর্থন করবে না। তাদের মতে, এই প্রস্তাব হাস্যকর।
ট্রাম্প বলেন, সরকারের শাটডাউন এড়াতে সদস্যরা যেন নতুন পরিকল্পনাকে সমর্থন করে। তিনি জানান, এই পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের জন্য খুব ভালো একটি ডিল নিয়ে আসা হয়েছে। 

চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প ও মাস্ক?

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এর আগে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় সরকারের খরচ চালানোর জন্য একটা অন্তর্বর্তী বিল নিয়ে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের ধনকুবের সহযোগী ইলন মাস্ক এক্স হ্যান্ডেলে এই বিলের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সেখানে প্রচুর ব্যয়বহুল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পরে ট্রাম্পও ওই বিলের সমালোচনা করেন এবং হুমকি দেন, এই বিল যে সব রিপাবলিকান সদস্য সমর্থন করবেন, তাদের আবার প্রার্থী হওয়া কঠিন হবে। প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট দাবি করেন, বিলে ঋণের সীমা বাড়াতে হবে বা সেই সীমাই রাখা যাবে না। 

নতুন প্যাকেজে কী ছিল?

রিপাবলিকানরা তাড়াহুড়ো করে নতুন বিল নিয়ে আসে। সেখানে বলা হয়, তিন মাসের জন্য ফেডারেল সরকারের খরচ চালাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ১০ হাজার কোটি ডলার, কৃষি ও খাদ্যে সাহায্যের জন্য এক হাজার কোটি ডলার রাখা হয়।
কিন্তু এই বিলে ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সীমা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়। এর ফলে সরকারের হাজার হাজার কোটি ডলারের ঋণ নেওয়ার পথ প্রশস্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এখন বিপুল পরিমাণ ঋণ রয়েছে। এই বিল অনুমোদিত হলে সেই ঋণের পরিমাণ আরো অনেকটা বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।

ডয়চে ভেলে