যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ‘শাটডাউন’ এড়াতে গতকাল শুক্রবার বিল পাস করেছে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ। এখন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ রাষ্ট্রীয় অর্থবিলকে (সরকারি ব্যয় প্যাকেজ) অনুমোদন পেতে হবে।
এতে ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত সিনেটকে বিলটি পাস করতে হবে, যাতে বর্তমান অর্থায়নের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরকার নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিনেট বিলটি পাস করলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এতে স্বাক্ষর করবেন। এই বিলটি আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত সরকারি অর্থায়নের মেয়াদ বাড়াবে এবং দুর্যোগে আক্রান্ত রাজ্যগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন এবং কৃষকদের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করবে। তবে এই বিল ঋণসীমা বাড়াবে না। হাউস স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, সরকারি ব্যয় প্রভাবিত করার জন্য রিপাবলিকানরা আগামী বছর আরো ক্ষমতা পাবে। কারণ, তারা উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে এবং ট্রাম্প থাকবেন হোয়াইট হাউসে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত এ অর্থবিল প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে ব্যর্থ হয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের জন্য সেদিন পরিষদে আনা এ বিলের বিরুদ্ধে ৩৪ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা বিলটি পাসে ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করেন। বিলটি পাস হতে ব্যর্থ হলে আজ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
আশঙ্কা তৈরি হয় যে, সরকারের বিভিন্ন বিভাগে অচলাবস্থা দেখা দেবে। বিমানবন্দরগুলোতে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়ে আসন্ন বড়দিনের ভ্রমণ ব্যাহত হতে পারে। তা ছাড়া, ২০ লাখের বেশি সরকারি কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সামাজিক সুরক্ষা এবং মেডিকেয়ারের চেক বিতরণ চালু থাকলেও অন্যান্য সুবিধা স্থগিত হতে পারে।
সূত্র : সিএনএন।