নিউইয়র্কে এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ইফতার

যোগ দিলেন কংগ্রেসওমেন ওকাসিও
ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৮

নিউইয়র্কের অন্যতম সামাজিক সংগঠন এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউএসএ’র ইফতার মাহফিল গত ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলধারার রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাজীবী, কমিউনিটির নের্তৃবৃন্দসহ কয়েক শ মানুষ যোগ দেন এ ইফতার মাহফিলে। 
এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দীনের পরিচালনায় এবং সভাপতি সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসওমেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, স্টেট সেনেটার ক্রিস্টিনা গাঞ্জালাজ, কাউন্সিল ওমেন জুলি ওন, স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জহরান কে মামদানি ও নিউয়র্ক সিটি পুলিশের ১১৪ প্রিসিংকটের ডেপুটি ইন্সপেক্টর কেনাত গরমেন্ট।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ব্লুক্রস ব্লুশিল্ড এর কমিউনিটি আউটরিচ ম্যানেজার ওয়েনডি ডমিংগেস ও কমিউনিটি রিলেশন ইয়াছমিন হারনানডেস। জালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক এর সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেলের ফার্স্ট সেক্রেটারি ইসরাত জাহান, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটি অব ইউএসএ ইনকের সভাপতি তজমুল হুসেন, সাবেক সভাপতি সোহান আহমেদ টুটুল, মদিনা মসজিদের সভাপতি এডভোকেট নাসির উদ্দিন, জালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাবেক সেক্রেটারি মিসবা মজিদ, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মিজানুর রহমান মিজান, ইঞ্জিনিয়ার সায়েম আহমেদ, কুলাউড়া এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভেস্ট কিনু চৌধুরী, হেলথ বেনেফিট রেফেজেনেটিব মোঃ শাহেদ রাশেদ, টাপ টাপ সেন্ট নোহসিন খান ও রিমি রশিদ, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি মাসাদুল হক সানু, সিলেট সদর সমিতির উপদেষ্টা মনসুর চৌধুরী ও শানুর কুরাইসি, গোলাপগঞ্জ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মিসবাহ আহমেদ, ওসমানী নগর সমিতি সাধারণ সম্পাদক ফখরুল চৌধুরী মিসলু, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটির সদস্য রিপন আহমেদ, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মুরাদ আহমেদ, শেখ সিপার আহমেদ, কাজী আজম, বেনু আহমেদ, কাওসার আহমেদ, ফজলু মিয়া, কামাল আহমেদ, শেখ নজরুল ইসলাম (ফকরু), জাহিদুল চৌধুরী, আলবি আহমেদ, শিপলু আহমেদ, নাজিম খান, আল আমিন মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাবেক সভাপতি খালেদুর রব, জসিম আহমেদ সাদেক, আব্দুল হান্নান, শাহাবুদ্দিন, শাফায়েত খান, মিসবাহ আহমেদ, আমিন হোসেন, আমির আলী, মকদ্দছ আলী, আব্দুর রাকিব, হেলাল আহমেদ, আমির আলী, শাহিন আহমেদ, মাওলানা নেছার আহমেদ ও হাফিজ ইসরাক আহমেদ।
এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহ সভাপতি কায়েছ আহেমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম শিমুল, অর্থ সম্পাদক এমদাদ রহমান তরফদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হক চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুবেল আহমেদ, সদস্য মির জাকির, ফয়সাল আহমেদ, শামসুল ইসলাম, শাহিন হাসনাত, আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদ, আবু সুলেমান, নরুল হক, মির্জা মোহাম্মদ, নাবিলা ও তানজুম লাগনু, সংগঠনের উপদেষ্টা দেওয়ান সাহেদ চৌধুরী, চৌধুরী সালেহ ও আব্দুর রহমান।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিনকে সিটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে প্রকলেমেশন এওয়ার্ড প্রদান করেন কাউন্সিলওম্যান (ডিস্ট্রিক্ট ২৬) জুলি ওউন।
ইফতার মাহফিলে আল আমিন মসজিদের ইমাম মাওলানা নেছার আহমেদ রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা ও দোয়া পরিচালনা করেন। মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
মুলধারার রাজনীতিবিদ সহ উপস্থিত সকলে এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
সংগঠনের সভাপতি সোহেল আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

১১
চাঁদা তুলে লাশ পাঠানো হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের 
নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রবাসীদের বলা হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা। কিন্তু কোনো প্রবাসী মারা গেলে তার কোনো মূল্য থাকে না। তারা অবহেলার পাত্র হয়ে যান। দেশে প্রেরণের অর্থাভাবে লাশ মর্গে পড়ে থাকে মাসের পর মাস। কখনো চাঁদা তুলে দেশে পাঠানো হয় লাশ। তবে ইউরোপের দেশ গ্রিসে মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদের লাশ দ্রুত দেশে প্রেরণের দায়িত্ব পালন করছে গ্রিস প্রবাসীদের বৃহত্তর সংগঠন ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস’।   
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ইউরোপের দেশ গ্রিসে বসবাস করছিলেন আজির উদ্দিন। কয়েক মাস আগে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আজির। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। মারা যাওয়ার প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত তার লাশ পড়ে ছিল হাসপাতাল মর্গে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় লাশ দেশে নিতে পারছিল না। তার পরিবার লাশ দেশে পাঠাতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতি অনুরোধ জানায়। 
এই ঘটনার মতো প্রবাসীদের লাশ দেশে পাঠাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কিন্তু শুধু লাশ দেশে পাঠাতে পরিবহন খরচ ছাড়াই হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার খরচ আসে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত যা সকল প্রবাসীর স্বজনরা বহন করতে পারে না। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে শুধু পরিবহন খরচ বহন করা হয়। হাসপাতাল মর্গের খরচসহ সকল প্রক্রিয়ার খরচ বহন করে বাংলাদেশ কমিউনিটি।
গ্রিস প্রবাসীদের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের উদ্যোগে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন মাঠে নামে লাশ পাঠানোর টাকা সংগ্রহের কাজে। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন দোকানে-দোকানে ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। একপর্যায়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির সহায়তায় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে পরিবহন খরচ বহন করে লাশ দেশে পাঠায় বাংলাদেশ দূতাবাস।
এভাবে গত ৭ বছরে গ্রিস থেকে মৃত্যুবরণকারী প্রায় আড়াই শতাধিক প্রবাসীর লাশ, প্রবাসীদের উত্তোলিত চাঁদার টাকায় বাংলাদেশে পাঠানোর অভিজ্ঞতার তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এখানে মারা গেলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে লাশ দেশে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কেউ মারা গেলে তাদের পরিবার যোগাযোগ না করলেও আমরা আমাদের দায়িত্ব মনে করে দ্রুত লাশটি দেশে পাঠানোর চেষ্টা করি। তবে আমাদের কোনো ফান্ড না থাকায় টাকা সংগ্রহ করতে কিছু সময় লাগে। কারণ, এথেন্সে কেউ মারা গেলে দূতাবাস থেকে টিকেট দেওয়ার পরও বাংলাদেশের টাকা প্রায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০-১৫ হাজারের মতো খরচ হয়। তবে কোনো প্রবাসী যদি এথেন্সের বাইরে বা তুরস্ক সীমান্তে মারা যায় তখন আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মতোও প্রয়োজন হয়। খুব কম প্রবাসীর পরিবারই তাদের নিজ খরচে লাশ দেশে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে চাঁদা উত্তোলন করে লাশ গুলো দেশে পাঠাতে সহায়তা করে।
কমিউনিটির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো ফান্ড দেওয়া হয় বা সরকারিভাবে সকল খরচ বহন করে লাশ দেশে নেওয়া হয়, তখন আর এতো ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা সারাজীবন দেশের জন্যই রেমিট্যান্স পাঠান। তাই সরকারের উচিত সকল প্রবাসীর লাশ সরকারি খরচে দেশে নিয়ে যাওয়া। এটা সকল প্রবাসীর দাবি।