গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা

পিটার হাসের সঙ্গে ভিন্নমত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৩১
আপডেট  : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৩৭

সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে তার এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বা ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট।
সোমবার পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরই ভিসানীতি কার্যকর হয়েছে।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ওয়াশিংটন প্রতিনিধি। এ সময় পিটার হাস যা বলেছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। বলেন, যারা ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন, তাদের নাম নির্দিষ্ট করে প্রকাশ করা হয়নি। তবে এ তালিকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা রয়েছেন।
বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই এ ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান মিলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেওয়ার জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়নি। বরং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ। 
এদিন ভিসানীতি ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে দলটি ৪৮ ঘণ্টার যে আলটিমেটাম দিয়েছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী। তবে, সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মিলার।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নজরদারির কথা বলে গত মে মাসে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এই ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে এ নীতির আওতায় পড়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি হোয়াইট হাউজ।
সূত্র: ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট