যুক্তরাষ্ট্রে ফেডেরাল অনুদান ও ঋণ স্থগিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশের কিছু অংশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ওই আদেশ কার্যকরের কথা থাকলেও সময় অতিক্রমের কিছু আগে আদালতের নির্দেশে তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সড়ক নির্মাণ পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অভিযোগ জানায় কয়েকটি সংগঠন। এরপরই ইউ এস ডিস্ট্রিক্ট জাজ লরেন আলিখান এই সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেন। আগামী সোমবার বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করবে আদালত।
ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে অর্থসহায়তা বন্ধের ওই সিদ্ধান্ত। ইতোমধ্যে তিনি বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ স্থগিত এবং বিভিন্ন সংস্থার বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কর্মসূচি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রশাসন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য স্বেচ্ছায় অবসরের প্রস্তাবও দেয়, যার লক্ষ্য সরকারি ব্যয় কমানো।
ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা একে কংগ্রেসের অর্থবিল অনুমোদনের ক্ষমতার ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, ট্রাম্পের আদেশের কারণে চিকিৎসক ও স্কুল শিক্ষকদের বেতনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থপ্রদানে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তবে রিপাবলিকানরা এটিকে বাজেট নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, মার্কিনিদের সরাসরি সেবায় নিযুক্ত প্রোগ্রামে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর রন ওয়াইডেন বলেছেন, ৫০ অঙ্গরাজ্যের চিকিৎসকরা তাদের পারিশ্রমিক আদায় করতে পারেননি বলে তার কার্যালয় নিশ্চিত করেছেন।
হোয়াইট হাউজ প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের বিষয়ে প্রশাসন সচেতন ও কোনও অর্থপ্রদান আটকানো হয়নি। তবে স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী অর্থ বিতরণ স্থগিত হলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
হোয়াইট হাউজের দাবি, ফেডেরাল সহায়তা প্রোগ্রামগুলো যেন প্রেসিডেন্টের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতেই অনুদান ও ঋণ প্রদানের রাশ টেনে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।