দেখলাম উড়োজাহাজটি ডানে বেঁকে যাচ্ছে, তলায় স্ফুলিঙ্গ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫

রোমান মোমবাতির ঝলকানির মতো কিছু একটা আকাশে দেখেছিলেন অ্যারি শ্যুলম্যান।  জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়ে ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে গেছে এই রাস্তা। গাড়ি চালিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখেন তিনি।
শ্যুলম্যান বলেন, ‘দেখে সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল। উড়োজাহাজটি  ঠিকমতো নেমে আসছিল, কোনো ত্রুটি ছিল না।’

কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই পেছনে ফিরে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় শ্যুলম্যানের। তিনি বলেন, ‘ আমি পেছনে ফিরে দেখি কিছুই আর ঠিকঠাক নেই। উড়োজাহাজটি দেখে মনে হচ্ছিল সেটি ডান দিকে বেঁকে যাচ্ছে। সম্ভবত ৯০ ডিগ্রি। আমি উড়োজাহাজের নিচের অংশ দেখতে পাচ্ছিলাম। বাইরে খুব, খুবই অন্ধকার ছিল। তাই  উড়োজাহাজের নিচের অংশ ভালোমতো দেখতে পাওয়ার কথা না।’তিনি আরও বলেন ‘উড়োজাহাজটির নিচের অংশে উজ্জ্বল হলুদ আলো দেখা যাচ্ছিল।  নিচ থেকে স্ফুলিঙ্গ বেরিয়ে আসছিল।’
শ্যুলম্যানের মনে হচ্ছিল উৎসবে রোমান মোমবাতি জ্বালানোর পর যেমন আলোর ঝলকানি দেখা যায় অনেকটা তেমনই। যেন দৈত্যের মতো বড় একটি মোমবাতি থেকে আলোর স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছিল। আর সেই স্ফুলিঙ্গ উড়োজাহাজটির নাকের দিক থেকে লেজের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
শ্যুলম্যান রাস্তায় পেছন দিকে ফিরে তাকান। তিনি কোনো বিস্ফোরণের শব্দ বা বড় কোনো আওয়াজ শুনতে পাননি। তিনি উড়োজাহাজ বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোনো আগুন দেখতে পাননি বলে জানান।
শ্যুলম্যান বলেন, ‘আমি আগুনের গোলা দেখার জন্য পেছনে ফিরে তাকাই। কিছু বিধ্বস্ত হয়েছে কিনা সেটা খুঁজতে থাকি। কিন্তু আমি কিছুই দেখতে পাইনি।’ এনবিসিকে শ্যুলম্যান আরও বলেন,  ‘প্রথমে মনে হয়েছিল দৃষ্টিভ্রম হয়েছে।  যদি সেখানে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, কেন আমি পরে কিছুই দেখতে পেলাম না।?’ তবে ঘটনা যে ঘটেছে তা বুঝতে পারেন পরক্ষণেই। জরুরি উদ্ধারকারীদের প্রথম দলটিকে তিনি দেখতে পান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বলেছে, স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে আমেরিকান এয়ারলাইনসের ওই উড়োজাহাজটিতে ৬০ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। অন্যদিকে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটিতে তিন সেনাসদস্য ছিলেন।