নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে কুইড প্রো কুয়ো কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠার পর তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ম্যানহাটনের রাস্তায় এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। টানা বৃষ্টির মধ্যেও বিক্ষোভকারীরা গভর্নর ক্যাথি হোকুলের কাছে আহ্বান জানান, তিনি যেন সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে মেয়র অ্যাডামসকে অপসারণ করেন।
প্রতিবাদকারীরা দাবি করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে অ্যাডামস অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। যা নিউইয়র্কের মূল্যবোধের পরিপন্থী। তাদের অভিযোগ, নিজের স্বার্থরক্ষার জন্য তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।
সম্প্রতি টম হোমানের সঙ্গে বৈঠকে অ্যাডামস নিউইয়র্কের রাইকার্স আইল্যান্ড কারাগারে আটক অভিবাসীদের শনাক্তের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। হোমান জানান, তারা বন্দিদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের শনাক্ত করে জননিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবস্থা নিতে চান।
এই বৈঠকের দিনই অ্যাডামসের বিরুদ্ধে ফেডারেল দুর্নীতি মামলার প্রধান প্রসিকিউটর আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়র অ্যাডামস ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতিতে সহযোগিতা করলে বিচার মন্ত্রণালয়ের মামলা প্রত্যাহার করা হতে পারে—এমন একটি সমঝোতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদিও অ্যাডামস ও তার আইনজীবীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রবিবার কুইন্সের এক গির্জায় ভাষণ দেওয়ার সময় মেয়র অ্যাডামস বলেন, প্রতিটি নতুন স্তরে নতুন চ্যালেঞ্জ আসে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, নিউইয়র্কে ৮৩ লাখ মানুষ বাস করে। সেখানে সবাই কি বিক্ষোভে নেমেছে?
অন্যদিকে, গভর্নর ক্যাথি হোকুল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এখনো মেয়রকে অপসারণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন যতক্ষণ না অ্যাডামস দায়িত্ব ছাড়েন।