মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি রক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কর হ্রাস ও সীমান্ত নিরাপত্তা। সেই লক্ষ্য পূরণে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি যখন মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হাউজ স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, আমাদের সামনে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমরা আজকের রাতটা একটু উপভোগ করে সকালেই আবার কাজে লেগে যাব। আমেরিকা ফার্স্ট অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।
প্রতিনিধি পরিষদে ২১৭-২১৫ ভোটে এই প্রস্তাব পাস হয়েছে। কেবল একজন রিপাবলিকান থমাস ম্যাসিই এর বিরোধিতা করেছেন। এক ডেমোক্র্যাট ভোটদানে বিরত থেকেছেন। আর বাকি সব ডেমোক্র্যাট সদস্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।
এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের ২০১৭ সালের কর হ্রাস নীতিকে আরও দীর্ঘায়িত করার প্রথম ধাপ। এখন প্রস্তাবটি সিনেটে পাঠানো হয়েছে, যেখানে রিপাবলিকানরা এটি নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে পরবর্তী ১০ বছরে ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হবে।
এই কর হ্রাস পরিকল্পনায় ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে গৃহীত কর ছাড় নীতিগুলো বছর শেষে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই পুনর্বহাল করা হবে।
তবে বাজেট সংক্রান্ত এই বিধি আইনপ্রণেতাদের সামনে থাকা অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মাত্র একটি।
আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে ২০২৫ অর্থবছরের ব্যয় বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন পাস করতে হবে, যাতে ফেডারেল সংস্থাগুলো সচল থাকে। এছাড়া বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নইলে দেশটি একটি বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়তে পারে।