অপ্রাপ্তবয়স্ক গর্ভবতী একটি মেয়েকে অনলাইনে গর্ভপাতের ওষুধ সরবরাহ করায় নিউ ইয়র্কের এক চিকিৎসক আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন।
ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় এসে গর্ভপাতসহ নানা সুযোগ-সুবিধা সীমিত করার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর এমন পরিস্থিতিতে লুইযিয়ানার এটর্নি জেনারেল সরাসরি ওই চিকিৎসককে গর্ভপাতের ওষুধ সরবরাহের অপরাধে অভিযুক্ত করেছেন। যার বিরোধিতা করে চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর।
লুইযিয়ানায় একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে গর্ভপাতের ওষুধ সরবরাহ করেছেন নিউ ইয়র্কের চিকিৎসক ডা. মার্গারেট কার্পেন্টার। ওই চিকিৎসকসহ নাবালিকার মায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অপরাধমূলক গর্ভপাতের ঘটনায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। লুইযিয়ানার এটর্নি জেনারেল লিজ ম্যারিল ওই চিকিৎসককে ‘ড্রাগ ডিলার’ বলে আখ্যা দেন।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল। তিনি বলেন, এটর্নি জেনারেল একজন চিকিৎসককে যে কথা বলে সম্বোধন করেছেন, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মার্গারেট কার্পেন্টার কাজ করছেন দেশের অন্যতম গর্ভপাত বিষয়ক অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাবরশন কোয়ালিশন ফর টেলিমেডিসিন’। এই প্রতিষ্ঠানের এক্সকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলি কে বলেন, নারীদের অধিকার হরণ করার একটি উদ্বেগজনক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একজন চিকিৎসককে নিরাপদ ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কারণে শাস্তি দেওয়ার এই রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা আমাদের সবার জন্যই বিপজ্জনক।
অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ হলে ডাকযোগে গর্ভপাতের ওষুধ সরবরাহ করা হয় লুইযিয়ানার ওই নাবালিকা মেয়েটিকে। কিন্তু ওষুধ গ্রহণের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটি ৯১১-এ ফোন করে সাহায্য চায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তদন্তের পর জানা যায়, ওষুধগুলো নিউ ইয়র্কের চিকিৎসক কার্পেন্টারের কাছ থেকে এসেছে। পরে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।