২.৯০ ডলার দিয়ে সাবওয়ে টিকেট না কিনে কিয়ারা স্টুয়ার্ট এখন একটু বেশি খরচ করে উবার কিংবা লিফট নিতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। একটাই কারণ এতে নিরাপদ বোধ করেন তিনি। মনটা আশঙ্কামুক্ত থাকে। কিয়ারার মতো নিউইয়র্ক সিটির অনেক বাসিন্দাই এখন সাবওয়েতে চড়তে রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন। কারণ সাবওয়েতে সহিংস হামলার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। গেলো সপ্তাহেও ৩০ বছরের এক নারীকে ধাক্কা মেরে ম্যানহাটানের একটি সাবওয়ে স্টেশনের ট্র্যাকের ওপর ফেলে দেওয়া হয়।
নিউইয়র্কে স্বল্পআয়ের মানুষের কাছে সাবওয়েই একমাত্র ভরসার স্থান। কিন্তু সাবওয়ের ভেতরে এখন ঢুকতেই ভয় ভয় লাগে। বিষয়টা ভীতিকর এবং দুঃখজনক, বলছিলেন কিয়ারা।
সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে এনওয়াইপিডি। তাতে দেখা গেছে গত এক বছরে সাবওয়েতে সহিংস ঘটনা ২২ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরেই ২০২২ সালের মোট সহিংসতার পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে গেছে।
এনওয়াইপিডির ট্রান্সপোর্টেশন বিভাগের প্রধান মাইকেল কেমপার বলেন, "আমাদের এই পরিস্থিতির অবশ্যই উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
কেম্পার জানান, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সাবওয়ে সহিংসতার চেয়ে এবছরের সেপ্টেম্বরে ২১.৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে একই সঙ্গে গ্রেফতারের সংখ্যাটিও বেড়েছে বলে দাবি করেন কেমপার। তিনি জানান, এই বছরে গ্রেফতারের সংখ্যা ৫৭.৪ শতাংশ বেড়েছে। আর সমন জারির সংখ্যা বেড়েছে ৫২ শতাংশ।
তবে মারাত্মক সহিংসতার হার কিছুটা কমেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর তা ৫ শতাংশ কম। কেমপার বলেন, সাবওয়েতে ডাকাতি ও ছিনতাই কমে এসেছে। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার সংখ্যা কমেছে ৩০ শতাংশ।
কিন্তু যাত্রীরা সাবওয়েকে আরও নিরাপদ দেখতে চান। তারা যাতে নির্বিঘ্নে ট্রেনে চাপতে পারেন সে ব্যবস্থাই চান কর্তৃপক্ষের কাছে। এ জন্য সাবওয়েতে আরও পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর প্রত্যাশা অনেকের। আলেক্সান্ডার নামের একজন যাত্রী বলেন, আগে অনেক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যেতো। এখন তা কম দেখি।