ন্যুনতম মজুরি কথায় আছে, কাজে নেই। নিউইয়র্কে ১৫ ডলার ন্যুনতম মজুরি হলেও টিপড কর্মীরা তা কখনোই পায় না। হোটেল রেস্টুরেন্টের কর্মীরা এর বড় শিকার। প্যানডেমিক শুরুর পর থেকে এই টিপড কর্মীদের জন্য নিউইয়র্ক আরও কঠোর হয়ে উঠেছে। তাদের জীবনযাত্রাই হয়ে উঠেছে অসম্ভব।
এ নিয়ে সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখানো হয়েছে রেস্টুরেন্ট ও দোকান কর্মীরা নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারা শিকার হচ্ছে মজুরি প্রতারণার। প্রধানত তারা টিপস পাওয়ার কারণে মালিকপক্ষ কখনোই তাদের ন্যুনতম মজুরি পরিশোধ করেন না। উপরন্তু অনেক নারী কর্মীকে যৌন নিপীড়নেরও শিকার হতে হয়।
নিউইয়র্কের স্টেট আইনপ্রণেতারা এবার একটি বিল আনতে যাচ্ছেন যাতে তারা বলছেন, টিপস পেলেও নিয়োগকর্তারা কর্মীদের একটি মানসম্মত ন্যুনতম মজুরি দিতে বাধ্য থাকবেন। টিপস হবে তাদের উপরি পাওনা।
নির্দিষ্ট কিছু টিপড কর্মীর ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের মধ্যে ১২.৭৭ ডলার ঘণ্টাপ্রতি মজুরি এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ১৭ ডলার ঘণ্টাপ্রতি মজুরির প্রস্তাব করা হচ্ছে এই বিলে।
বিষয়টি সামনে রেখে ম্যানহাটানে একটি সমাবেশে বলা হয়, মালিকদের আচরণের কারণে এই শ্রমিক কিংবা কর্মীরা তাদের জীবন ধারণের উপযোগী পর্যাপ্ত অর্থ ঘরে নিতে পারছেন না। ফুড স্ট্যাম্পের নির্ভর করে তাদের জীবন ধারণ করতে হচ্ছে।
রিপোর্টটিতে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে এই শ্রমিক কর্মচারীরা মজুরি প্রতারণা শিকার হচ্ছেন। তাদের কষ্টার্জিত ডলার তাদের ঘরে যাচ্ছে না। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের ২ মিলিয়ন শ্রমিক কর্মচারীর পাওনা থেকে বছরে ৩.২ বিলিয়ন ডলার মজুরি প্রতারণা করেন মালিকেরা। এর এক তৃতীয়াংশই নেওয়া হয়ে ন্যুনতম মজুরি আয়ের মানুষগুলোর কাছ থেকে। অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিসিয়া জেমস এসব তথ্য দিয়ে বলেন, ১০০ জনেরও বেশি সেলুন কর্মীর ৩০০,০০০ ডলার তিনি নিজেই আদায় করে দিয়েছেন।
মজুরি চুরির পাশাপাশি কর্মীদের যৌন নিপীড়ণ ও বৈষম্যের শিকার হতে হয় বলেও উঠে এসেছে এই রিপোর্টে।
একজন নারীকে যখন বলা হয়, তোমার ফেসমাস্কটা সরাও আমি দেখি তুমি দেখতে কতটা কিউট, আর আমার কত টিপস দেওয়া উচিত, এটা রীতিমতো ওই নারীকে হেনস্তা করা ছাড়া কিছু নয়। স্রেফ পারভেসিভ, বলা হয় রিপোর্টে।