মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ইলন মাস্ককে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করে তার প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে শুক্রবার (৩০ মে) ওভাল অফিসে ইলন মাস্কের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে বলেন, ‘এটি ইলন মাস্কের শেষ দিন হবে, কিন্তু আসলে নয়, কারণ তিনি সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন, সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করবেন। এলন অসাধারণ!’
মাস্কের এ প্রস্থান এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রথম বড় ধরনের মতবিরোধের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচিত কর ও ব্যয়–সংক্রান্ত বাজেট বিল নিয়ে এ মতবিরোধ তৈরি হয়। এ বিলটি ২২ মে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়।
এর পর ইলন মাস্ক বুধবার (২৮ মে) হোয়াইট হাউসের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ট্রাম্প এবং ইউরোপের ডানপন্থী দলগুলোর প্রতি তার প্রকাশ্য সমর্থনের জেরে এ বছর টেসলার শেয়ারের বড় ধস দেখা দেয়, যার কিছুটা প্রভাব কাটানোর চেষ্টায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইলন মাস্ককে সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউসে থাকাকালে মাস্ক নানা কর্মকাণ্ডের কারণে বেশ বিতর্কিত হয়েছেন। বিশেষ করে বিদেশে সহায়তা পাঠানোর কাজে নিবেদিত মার্কিন সংস্থা ইউএসএআইডিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) মাস্ক কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত কর ও বাজেট পরিকল্পনার ব্যয়ের কঠোর সমালোচনা করেন, যা বাজেট ঘাটতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এর পরই তার সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।
উল্লেখ্য, গত বছর ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচনী প্রচারসহ বিভিন্ন রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রচারে ইলন মাস্ক প্রায় ৩০ কোটি ডলার ব্যয় করেন। তবে সম্প্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, রাজনীতিতে আর এতটা অর্থ ব্যয় করবেন না।
মাস্কের পদত্যাগ, ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং আসন্ন যৌথ সংবাদ সম্মেলন–সব মিলিয়ে এটি মার্কিন রাজনীতি ও প্রযুক্তি জগতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট