ইরানের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে, পেন্টাগন প্রস্তুত আছে বলে, জানিয়েছেন ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ। বুধবার সেনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির এক শুনানিতে তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যই দেশের মানুষ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নির্বাচিত করেছে।
২০২৬ অর্থবছরের জন্য ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের বাজেট এবং ভবিষ্যত প্রতিরক্ষা কর্মসূচি নিয়ে বুধবার সেনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানিতে অংশ নেন ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইযরায়েলের চলমান সংঘাতে অ্যামেরিকা সরাসরি জড়িয়ে পড়বে কি না, সেটিই এই শুনানিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তেহরানকে আগেই সতর্ক করেছিলেন উল্লেখ করে হেগসেথ বলেন- চলমান পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ইরানের কাছে যথেষ্ঠ সুযোগ ছিলো।
মধ্যপ্রাচ্যে হামলার বিকল্পগুলো তাকে সক্রিয়ভাবে প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে কি-না, ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জিন শ্যাহিনের এক প্রশ্নের জবাবে হেগসেথ বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তিনি প্রকাশ করবেন না। তবে, ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের কাজ হলো প্রস্তুত থাকা এবং সব বিকল্প হাতে রাখা।
এছাড়া, সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দমনে, লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েন করা নিয়ে শুনানিতে ডেমোক্র্যাটদের জেরার মুখে পড়েন পিট হেগসেথ।
দেশের অভ্যন্তরে সেনা মোতায়েনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানবেন কি-না, জানতে চান সেনেটর ম্যাযি হিরোনো। ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ জানান সেনেটর ট্যামি ডাকওর্থ।
তিনি অভিযোগ করেন, হেগসেথ অ্যামেরিকানদের লক্ষ্য করে অস্ত্রধারী সেনা মোতায়েন করেছেন। সামরিক বাহিনীকে তাদের মূল কাজে নিয়োজিত করতে পরামর্শ দেন। ডিফেন্স সেক্রেটারি হিসেবে হেগসেথের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ডাকওর্থ।
আরেক, ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জ্যাক রিড উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা ও পেন্টাগনে হেগসেথের নেতৃত্বের সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অনেক পেশাদার ও বিশেষজ্ঞ কর্মী হারাচ্ছে পেন্টাগন। তবে, এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন হেগসেথ।