সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংসের ক্ষমতা ইসরায়েলের নেই 

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২১ জুন ২০২৫, ১৫:০০

ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংসের ক্ষমতা ইসরায়েলের নেই বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের। শুক্রবার (২০ জুন) নিউজার্সির মোরিস্টাউন মিউনিসিপাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, আসলে ইসরায়েলের সক্ষমতা খুবই সীমিত। তারা হয়তো ফোরদোর ছোট একটি অংশ ধ্বংস করতে পারবে, কিন্তু অনেক গভীরে যেতে পারবে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। তবে সম্ভবত এর প্রয়োজন পড়বে না।
তিনি বলেন, ইসরায়েল যেহেতু বর্তমানে জয়ের পথে রয়েছে, তাই তাদের এখন হামলা বন্ধ করতে বলা আমার জন্য সহজ নয়। যদি কেউ জয়ী হয়, তাহলে তাকে হামলা বন্ধ করতে বলা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু কেউ যদি পরাজিত হয়, তখন তাকে থামতে বলা সহজ হয়। তবে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি এবং ইরানের সঙ্গেও কথা বলছি। কী হয়, তা দেখা যাক।
এ সময় ট্রাম্প দাবি করেন, চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল ইরানের চেয়ে ভালো করছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল যখন জয়ের পথে থাকে, তখন তাদের থামানো কঠিন হয়ে পড়ে। ইসরায়েল খুব ভালো করছে যুদ্ধে, আর ইরান তুলনামূলকভাবে কম সফল।
এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ইরান ইউরোপের সঙ্গে কথা বলতে চায় না। এ সময় জেনেভায় ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যকার বিরোধ নিরসনের আলোচনা সফল হওয়ার সম্ভাবনাকে তিনি অবহেলা করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপে যাবেন কি না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় নেবেন।
এদিকে দখলদার ইসরায়েলের হামলা চলাকালীন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুক্রবার (২০ জুন) আলোচনায় মিলিত হয়েছিলেন ইরান ও ইউরোপের একাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠক শেষে ইরান জানায়, দখলদারদের হামলা চলমান থাকা অবস্থায় তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করবে না। পাশাপাশি যেকোনো আলোচনায় বসার আগে ‘জঘন্য’ হামলার দায়ে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনতে হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তেহরান।
আব্বাস আরাগচি বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হলে এবং ইরানে যে জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে, তার জন্য আগ্রাসনকারীদের বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে ইরান আবারও কূটনৈতিক সমাধানের পথ বিবেচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এসব কর্মসূচির ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইরান তার আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে শুক্রবার ইরাক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরাকের প্রতিনিধি জানান, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ঠিক আগে ইসরায়েলের ৫০টি যুদ্ধবিমান ইরাকের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে।