২০২৫ সালে ফের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম দফার ক্র্যাকডাউন নীতিতেই ফিরবেন। তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে যত আনডকুমেন্টেট মানুষ বাস করছে তাদের রীতিমতো ঝেঁটিয়ে বিদায় করা। প্রথমে তাদের চিহ্নিত করে ক্যাম্পে রাখা হবে আর এরপর বহিষ্কার করা হবে।
তবে কেবল অবৈধদেরই নয়, বৈধ যারা আছেনে তাদের বিরুদ্ধেও থাকবে আমেরিকা ছাড়া করার নানাবিধ উপায়।
প্রথম মেয়াদের সীমান্ত নীতিতেই ফিরবেন মি. ট্রাম্প। বিশেষ কিছু মুসলিম প্রধান জাতিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কোভিড-১৯ এর নেওয়া সকল আশ্রয় প্রার্থণা বাতিলের সিদ্ধান্ত পূণর্বহাল করা হবে। এবারে তার এই বাতিলের মূলে অবশ্য আর কোভিড থাকবে না, থাকবে অভিবাসীরা যক্ষার মতো আরও নানাবিধ সংক্রামক রোগ-বালাই নিয়ে আসে আর তাই তাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
তার পরিকল্পনাই হচ্ছে দেশকে আনঅথরাইজড ইমিগ্র্যান্টমুক্ত করা এবং প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন জনগোষ্ঠীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।
এই গণহারে ডিপোর্টেশন যাতে সহজ হয় সে জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন এক পদ্ধতি বের করছেন যার জন্য শুনানিটুকুও প্রয়োজন হবে না। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের এই ঝাঁটা অভিযান বাস্তবায়নে তার পরিকল্পনায় রয়েছে অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাসমূহকে নিযুক্ত করা এবং স্থানীয় পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের সেনাদের ব্যবহার করা।
আইসিই ডিটেনশন ফ্যাসিলিটি বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুলাকায় ক্যাম্প নির্মাণ করতে চান, যখন অবৈধ ইমিগ্রান্টদের কেসগুলো প্রসেসিং চলবে তখন তারা সেখানেই অবস্থান করবেন। আর ডিপোর্টেশন ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। এসবের জন্য কংগ্রেস যদি কোনো তহবিল ছাড় দিতে রাজি না থাকে তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই মিলিটারি বাজেট থেকে অর্থ আনবেন ঠিক যেমনটা তিনি করেছিলেন তার প্রথম দফায় সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের জন্য।
গত সেপ্টেম্বরে আইওয়ায় একটি পাবলিক কর্মসূচিতে ট্রাম্প তার এসব পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, "আইশেনহাওয়ার মডেল অনুসরণ করে আমরা আমেরিকার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ডমেস্টিক ডিপোর্টেশন অভিযান চালাবো।" ১৯৫৪ সালে মেক্সিকানদের বিদায় করতে সে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিলো "অপারেশন ওয়েটব্যাক"।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ২০২৫ ইমিগ্রান্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ইমিগ্রান্টদের ওপর এমন খাড়া নেমে আসবে যা আধুনিক আমেরিকান ইতিহাসে কখনোই দেখা যায়নি। কোটি কোটি মানুষকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। যারা হয়তো বছরের পর বছর এমন কি দশকের পর দশক ধরেই এই দেশে অবস্থান করছেন।