বাইডেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতাদের বৈঠক 

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা বন্ধে পদক্ষেপ নিন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৮

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় পক্ষে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ক্ষোভের কারণ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এখানকার মুসলমানদের রীতিমতো চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা বন্ধে বাইডেনের পক্ষ থেকে সরাসরি পদক্ষেপ দাবি করছেন। খবর সিএনএন ও দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে স্বল্প সময়ের একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের জন্য বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানান। নেতারা গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন বলে খবর দিচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে হামাস। এ সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাইডেন। বৈঠকে এর ব্যাখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেছেন, কার্যত তিনি হামাস ও ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে পার্থক্য দেখাতে চেয়েছিলেন। এ ছাড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের উদ্বেগ সম্পর্কেও তিনি বৈঠকে অবগত হন।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে বিষয়টি মোকাবেলা করা নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছেন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ইসরায়েলকে সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মী না হওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এই মুসলিম নেতাদের অনেকেই ২০২০ সালে বাইডেনের পক্ষে দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোটের প্রচার চালিয়ে ছিলেন। তাদের অনেকেই সতর্ক করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি ও ফিলিস্তিনি মার্কিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের শীর্ষ কর্মকর্তারাও মুসলিম মার্কিনিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার জেরে এসব পদক্ষেপ আসছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক নেতাই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিরল ও দীর্ঘ এক বিবৃতিতে গাজায় পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়া নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।