অর্থায়ন চালু রাখতে প্রশাসনের প্রস্তাবে সম্মত কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২২ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩২

ফেডারেল অনুদান চালু রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি করা একাধিক পরিবর্তন প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি। সরকার-নির্ধারিত বর্ধিত সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে চুক্তির রূপরেখা দিয়ে একটি স্মারক প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগে, চলতি মাসে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ৪০০ মিলিয়ন ডলার ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। শর্ত জুড়ে দেয়, এর বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিলেই, চালু হবে এই বরাদ্দ। ফেডারেল তহবিল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়ে চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা। শেষমেষ ট্রাম্প প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সীমার আগেই, তাদের প্রস্তাব মেনে নিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
এতে করে এখন থেকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হলো মুখোশ পড়া। সাথে কাউকে অপসারণ বা গ্রেপ্তারে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দেয়া হলো বাড়তি ক্ষমতা। একইসাথে, নজরদারি বাড়ানো হলো মধ্যপ্রাচ্যের ওপর শিক্ষা দেয়া বিভাগগুলোর ওপর।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, পরিচয় গোপন করার জন্য এখন থেকে আর ক্যাম্পাসে মুখোশ পরার অনুমতি নেই। জিজ্ঞাসা করলে তাদের পরিচয় দিতে বাধ্য থাকবে যে কেউ। এছাড়া, ক্যাম্পাসের বৈষম্য বিরোধী নীতিগুলি সংশোধন করে, গ্রেপ্তার বা সংগঠনগুলোর অনুমোদন দিতে নিয়োগ দেয়া হবে তিন ডজন বিশেষ কর্মকর্তা।
তবে, প্রশাসনের দেয়া নয়টি দাবির মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত দাবিটিও মেনে নিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। দাবিটি ছিল-- মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকান স্টাডিজ বিভাগগুলোকে একাডেমিক রিসিভারশিপের অধীনে রাখার। সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে এসব অনুষদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারালো কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি।
মেমোতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, পাঠ্যক্রম এবং অনুষদ পর্যালোচনা করার জন্য একজন নতুন সিনিয়র প্রশাসক নিয়োগ করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যাতে বিভাগটিতে মধ্যপ্রাচ্যের ভারসাম্যপূর্ণ রাজনীতি এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলির উপর কোর্স প্রদান করতে পারে।
যদিও এই দাবিটি কলাম্বিয়া এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে দারুণ উদ্বেগের জন্ম দিয়েছিল। তারা আশঙ্কা করেছিলেন, ফেডারেল সরকারকে বিভাগটি পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হলে, একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন হবে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার আইসগ্রুবার বলেন, জোরপূর্বক নানা দাবি মেনে নিতে এখন ফেডারেল তহবিলকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন।