ডেস্ক রিপোর্ট
ম্যানহাটনের ওয়েস্ট ১৩৪ স্ট্রিটের একটি পতিত জমির মাল-মাত্তা ও আবর্জনা সরিয়ে রীতিমতো বাগান করে তাতে ফসল ফলাচ্ছেন টনি হিলেরি। এক দল কর্মী নিয়ে তিনি ১২ বছর ধরে এই জমিতে চাষাবাদ করছে। এখন তার বাগান শহুরে চাষাবাদে গড়ে ওঠা একটি নেটওয়ার্কের সদস্য। এবং তাতে ১৪ টি সাইট থেকে বছরে ৬০০০ পাউন্ড অরগ্যানিক শষ্য উৎপাদন হয়। চাষীদের মুক্ত বাজারে প্রতি বুধবার ও শনিবার সেসব উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হয়। শুধু কি তাই পুষ্টি শিক্ষা, রান্নার উপস্থাপনা, রেসিপি রাইটিংয়েও এসব বাগানের কথা উঠে আসে।
হিলারি তার এই হারলেম গ্রোন নামের বাগানটি করার উদ্যোগ নেন কমিউনিটির নিম্ন-আয়ের মানুষের পরিবারগুলোর শিশুদের জন্য যারা খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে। নিউইয়র্কের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এমন কমিউনিটিগুলোকেই বেছে নেন তিনি। সে কারণে তার উৎপাদিত পণ্যের দাম যতটা কম রাখা সম্ভব ততটাই কম রাখেন এই ম্যানহাটনবাসী।
প্রথমে তিনি পিএস ১৭৫ এ যে শিশুরা যায় তাদের খাবার সরবরাহ শুরু করেন। তিনি জানেন নগরের অনেক শিশুর জন্যই স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া অসম্ভব কিংবা সুযোগ সীমিত। স্কুলে শিশুদের জন্য দেওয়া জাঙ্ক ফুড ই তাদের অন্যতম খাদ্য।
এসব দৈবাৎ কোনো ঘটনা নয়, এসব ব্যাপার আমরা জানি। নগরীতে আমরা সবকিছুরই জোনিং করতে পারছি, পারছি না কেবল এইসব অস্বাস্থ্যকর, চর্বিসম্মৃদ্ধ, লবন আর চিনিযুক্ত খাবারের জোনিং করতে। সুতরাং প্রথমে আমাদের ইচ্ছাটাই নেই। তার পরেই আসে সামর্থ্যের কথা।
গ্রোন হারলেমের মতো আরেকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে , নাম গ্রোএনওয়াইসি। তাদেরও মিশন হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ ও কমিউনিটিগুলো থেকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দূর করা। এক্ষেত্রে তারা এসব খাবারের দাম যত কম ধরা যায় ততটাই করছেন।
আমরা দেখেছি সব মানুষই স্বাস্থ্যকর খাবার চায়, যদি তা তাদের সামর্থ্য ও সহজলভ্যতার মধ্যে থাকে, বলেন গ্রোএনওয়াইসির ফ্রেশ ফুড বক্স নামক কর্মসূচির প্রগ্রাাম ম্যানেজার।