নিউইয়র্কে অপরাধী ধরতে পুলিশের নতুন পন্থা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২২

ওয়্যারলেসে বার্তা আদান-প্রদান পুলিশের অন্যতম কৌশল। এতে সহজেই অপরাধীকে আটকে ফেলা সম্ভব। এক স্থান থেকে পালালেও অপর স্থানের পুলিশকে আগেভাগে সতর্ক করা যায় এবং জাল পাতা যায় অপরাধীকে ধরার।
নিউইয়র্ক পুলিশে এই ব্যবস্থা ৯০ বছরের পুরোনো। ১৯৩২ সালে প্রথম চালু হয় এই রেডিও বার্তা আদান প্রদান। এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা রাখা ছিলো এই পদ্ধতির অন্যতম শর্ত। কিন্তু এবার সেই স্বচ্ছতার বিধান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ। তারা বলছে এখন থেকে তারা বার্তা আদানপ্রদান করবে ঠিকই, তবে তা হবে এনক্রিপ্টেড। অর্থাৎ সাংকেতিক বার্তা প্রেরণ হবে। অপর সহকর্মী তা থেকেই জানতে পারবে ঠিক কোন বার্তাটি তার কাছে পৌঁছুলো। সিদ্ধান্তটি নিতে সময় নেবে এনওয়াইপিডি। আগামী ২০ নভেম্বর ম্যানহাটনের ব্রডওয়েতে এ বিষয়ে একটি শুনানি করবে পুলিশ বিভাগ।
তবে এর আগে গত ১৭ জুলাই নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে এর একটা মহড়া হয়ে যায়। এইদিন পুলিশ সরাসরি কোনো রেডিও বার্তা পাঠাচ্ছিলো না। পুলিশ অফিসারদের পাঠানো বার্তা এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে পাল্টে দেওয়া হচ্ছিলো। আর তাতে নিউজ সংস্থাগুলো পড়ে যায় বিপাকে। পুলিশের যোগাযোগ থেকে যায় জনগণের কাছেও অজানা।
এর ফলে সংবাদকর্মীরা, বিশেষ করে সিটিজেন জার্নালিস্টরা রিপোর্ট করতে পারছিলেন না, সক্রিয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য ঘটনা সম্পর্ক অবহিত হতেও পারছিলেন না।
পুলিশ জানিয়েছে ২ মিলিয়নের বেশি সিটিজেন অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর সংবাদ সংস্থাগুলোকে এই বার্তা আদান-প্রদানের সুবিধার আওতায় রাখা হবে কি-না সে ব্যাপারে এখনই কোনো পরিকল্পনা নেই।
এনওয়াইপিডির তথ্যপ্রযুক্তি প্রধান রুবেন বেলটার্ন বলেন, রেডিও পদ্ধতিতে বার্তা পাঠানোর এই প্রক্রিয়া আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হয়েছে, এমন নজির রয়েছে।
মেয়র এরিক অ্যাডামসের মুখেও একই সুর। তিনি বলেছেন, 'খারাপ মানুষেরা এই বার্তা দেওয়া-নেওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারাও দেখতে পারে কখন পুলিশ কোথায় অপরাধী তৎপরতার বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা জানতে পারে কখন কোথায় কি রিপোর্ট করা হচ্ছে। আমাদের এ ব্যাপারে একটা যথার্থ ব্যালান্স নিশ্চিত করতে হবে।
এসব বিষয়েই শুনানি করবে এনওয়াইপিডি। তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।