নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র ও পুলিশ কমিশনারের নামে ট্রাম্প প্রশাসনের মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৫ জুলাই ২০২৫, ১২:১২

নিউ ইয়র্ক সিটির স্যাঙ্কচুয়ারি নীতি ও আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশটির বিচার বিভাগ (জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট) এ মামলা দায়ের করে। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস, সিটি কাউন্সিল স্পিকার আদ্রিয়ান অ্যাডামস ও এনওয়াইপিডির কমিশনার জেসিকা টিশকে।
মেয়র অফিসের মুখপাত্র বলেছেন, মামলার আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ মামলার পেছনে রয়েছে চলতি সপ্তাহে ম্যানহাটনে ঘটে যাওয়া এক গোলাগুলির ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পার্কে বসে থাকা অবস্থায় দুজন অবৈধ অভিবাসী এক কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল (সিবিপি) কর্মকর্তাকে গুলি করে। 
এ ঘটনায় মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম ও বর্ডার জার টম হোম্যান নিউ ইয়র্কে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা আইসের অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন।
এরপরই বৃহস্পতিবার সামনে আসে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ৩৭ পৃষ্ঠার মামলার বিষয়টি।
মামলায় বলা হয়, নিউ ইয়র্ক সিটির স্যাঙ্কচুয়ারি আইন ফেডারেল ও স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে। ফলে অপরাধী ধরতে সমন্বিতভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেন, ‘স্যাঙ্কচুয়ারি আইনের আড়ালে নিউইয়র্ক সিটি হাজার হাজার অপরাধীকে রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছে। নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সাল থেকেই নিউইয়র্ক সিটিতে স্যাঙ্কচুয়ারি আইন চালু রয়েছে। এই আইনের আওতায় স্থানীয় সংস্থাগুলো অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে বাধ্য নয়।
সাবেক মেয়র বিল দে ব্লাজিওর সময় এই নীতির প্রয়োগ আরো জোরালো হয়। যদিও বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস এ নীতি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তবে সিটি কাউন্সিলের বিরোধিতায় তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
এ বিষয়ে মেয়র অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিউ ইয়র্ক সিটিকে নিরাপদ রাখতে ও অপরাধী ধরতে ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায় মেয়র প্রস্তুত আছেন।
তবে এটি বাস্তবায়ন নির্ভর করছে সিটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ওপর।’
এর আগে গত জুনে লস অ্যাঞ্জেলেস সিটির স্যাঙ্কচুয়ারি আইনের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। এর পরপরই সেখানে আইসের ব্যাপক ধরপাকড় ও অভিযান চালানো হয়।