আইনগত মর্যাদা না থাকা এবং স্বামী বা স্ত্রীর মাধ্যমে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদনকারী ইমিগ্রেন্টদের জন্য ‘রিমুভাল প্রসিডিং’ শুরু করতে পারে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি অনুযায়ী বিয়ের মাধ্যমে গ্রিন কার্ড কামনাকারী ইমিগ্রেন্টরা ডিপোর্টেশনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছেন। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) সোমবার নতুন যে নির্দেশিকা ইস্যু করেছে, সেটি অন্যান্য পরিবার সদস্যদের মাধ্যমে লিগ্যাল পারমানেন্ট রেসিডেন্সি চাওয়া ইমিগ্রেন্টদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানা গেছে।
ইউএসআইসিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১ আগস্টে বা এরপর আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে। ইমিগ্রেশন পলিসি এবং লিগ্যাল এক্সার্টরা এনবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, নতুন এই নিয়মে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদনকারী অনেক ইমিগ্রেন্টের জন্য বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
কলম্বিয়া ল’ স্কুলের ইমিগ্রেন্টস রাইটস ক্লিনিকের পরিচালক ইলোরা মুখার্জি বলেন, ‘এটি হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাভেনিউ, যার মাধ্যমে লোকজন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ পারমানেন্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার চেষ্টা করত।’ তিনি বলেন, নতুন নীতির ফলে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদনকারীদের শুরুতেই সমস্যায় পড়তে হবে।
ইউএসসিআইএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ইমিগ্রেন্টদের পক্ষে পরিবার সদস্যরা ইউএস রেসিডেন্সির জন্য প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার আবেদন করেছে।